মেসি-রোনালদো দুজনেরই সতীর্থ যে ২১ ফুটবলার

messi ronaldo
ফাইল ছবি

লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সময়ের সেরা খেলোয়াড়ের প্রসঙ্গ উঠলে এই নাম দুটি সবার আগে ভেসে ওঠে ফুটবলপ্রেমীদের চোখে। কেবল ভক্ত-সমর্থকরা নন, অন্যান্য ফুটবল তারকাও মেসি ও রোনালদোর দক্ষতা আর সামর্থ্যে হন বিমোহিত। তবে খুব সংখ্যকেরই সৌভাগ্য হয়েছে তাদের সতীর্থ হওয়ার, তাদের সঙ্গে মাঠে ও মাঠের বাইরে জয়ের আনন্দ কিংবা হারের বেদনা ভাগাভাগি করার।

কদিন আগেও তালিকাটা ছিল ১৬ জনের। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি গত মঙ্গলবার বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) পাড়ি জমানোয় সেখানে যুক্ত হয়েছে আরও পাঁচটি নাম। অর্থাৎ তার ও জুভেন্টাসের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রোনালদোর সঙ্গে একই দলে খেলা ফুটবলারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ (ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে)।

ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক চার ফুটবলার। তারা হলেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস, মরক্কোর ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি, স্পেনের সাবেক অধিনায়ক সার্জিও রামোস ও একই দেশের মিডফিল্ডার পাবলো সারাবিয়া। রিয়ালে থাকাকালে রোনালদোর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাদের। এবার মেসির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে নামবেন তারা। আর পর্তুগালের ডিফেন্সিভ দানিলো পেরেইরা জাতীয় দলে রোনালদোর সান্নিধ্য লাভের পর ক্লাবে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন মেসিকে।

বাকি ১৬ জনের তালিকা:

ফার্নান্দো গ্যাগো (রিয়াল মাদ্রিদ, আর্জেন্টিনা)

স্প্যানিশ ক্লাব রিয়ালে তিন বছর রোনালদোর সঙ্গে খেলেছেন। মেসির সঙ্গ পেয়েছেন জাতীয় দলে।

গ্যাব্রিয়েল হাইঞ্জা (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্জেন্টিনা)

ইংল্যান্ডের সফলতম ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে রোনালদোর সতীর্থ ছিলেন তিন বছর। আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলেছেন মেসির সঙ্গে।

জেরার্দ পিকে (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বার্সেলোনা)

ইউনাইটেডে থাকতে রোনালদো যখন নিজের প্রথম ব্যালন ডি'অর জয়ের পথে হাঁটছিলেন, তখন ছিলেন সতীর্থ। পরবর্তীতে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার জার্সিতে মেসিকে ছয়টি ব্যালন ডি'অর জিততে দেখেছেন।

আন্দ্রে গোমেস (পর্তুগাল, বার্সেলোনা)

রোনালদোর নেতৃত্বে পর্তুগালের হয়ে খেলেছেন। মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় কাটান দুই বছর।

আনহেল দি মারিয়া (রিয়াল মাদ্রিদ, আর্জেন্টিনা ও পিএসজি)

রিয়ালের হয়ে ২০১৪ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন রোনালদোর সঙ্গে। মেসির নেতৃত্বে জাতীয় দলের জার্সিতে সবশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের পর ক্লাব পর্যায়েও তাকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন।

কার্লোস তেভেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্জেন্টিনা)

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মাতান রোনালদোর পাশে থেকে। মেসির সঙ্গে দুবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছিলেন আর্জেন্টিনার হয়ে।

পাওলো দিবালা (জুভেন্টাস, আর্জেন্টিনা)

রোনালদোর সঙ্গী হয়ে ইতালিয়ান সিরি আতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ নিয়েছেন দুবার। মেসির সঙ্গে খেলেছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

গঞ্জালো হিগুয়াইন (রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস, আর্জেন্টিনা)

দুর্ধর্ষ আক্রমণভাগে রোনালদোর সঙ্গী ছিলেন রিয়াল ও জুভেন্টাসে। জাতীয় দলে মেসির সতীর্থ ছিলেন লম্বা সময় ধরে।

হেনরিক লারসন (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বার্সেলোনা)

রোনালদোর সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যখন জিতেছিলেন, বার্সায় মেসি ছিলেন সতীর্থ।

নেলসন সেমেদো (পর্তুগাল, বার্সেলোনা)

২০১৯ সালে উয়েফা নেশন্স লিগ জেতেন রোনালদো অধিনায়কত্বে। বার্সেলোনায় মেসির সঙ্গে পরপর দুবার জিতেছিলেন স্প্যানিশ লা লিগা।

এজিকিয়েল গ্যারায় (রিয়াল মাদ্রিদ, আর্জেন্টিনা)

রিয়ালে দুই মৌসুম ছিলেন রোনালদো সতীর্থ। মেসির নেতৃত্বে ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।

ডেকো (পর্তুগাল, বার্সেলোনা)

জাতীয় দলে রোনালদোর পাশাপাশি খেলেছেন অনেক বছর। মেসির ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বার্সায় ছিলেন।

মার্তিন কাসেরেস (জুভেন্টাস, বার্সেলোনা)

জুভেন্টাসে নিজের তৃতীয় দফায় রোনালদোর সতীর্থ হন ২০১৯ সালে। এর দশ বছর আগে মেসির সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন বার্সার জার্সিতে, রোনালদোর ইউনাইটেডকে হারিয়ে!

মিরালেম পিয়ানিচ (জুভেন্টাস, বার্সা)

রোনালদোর সঙ্গে টানা দুই মৌসুম সিরি আর শিরোপা ঘরে তোলেন। সবশেষ মৌসুমে বার্সায় যোগ দিয়ে মেসির সতীর্থ হন।

আর্থুর মেলো (জুভেন্টাস, বার্সেলোনা)

গত মৌসুমে তুরিনে পাড়ি জমিয়ে খেলেন রোনালদোর সঙ্গে। এর আগে মেসির সঙ্গে জিতেছিলেন লা লিগা।

ত্রিনকাও (পর্তুগাল, বার্সেলোনা)

মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে মেসি ও রোনালদোর সঙ্গে খেলার স্বাদ পেয়েছেন তিনি। সবশেষ মৌসুমে বার্সায় নাম লেখানোর পর জাতীয় দল পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Metro rail service resumes after 1.5 hours

The setback caused enormous suffering to commuters during the rush hour

54m ago