সেই কেপাই নায়ক

নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে গোলরক্ষক পরিবর্তন করেন চেলসি কোচ টমাস টুখেল। এডওয়ার্ড মেন্ডির জায়গায় নামান কেপা আরিজাবালাগাকে। আর টাই-ব্রেকার নামক লটারি পর্বে ম্যাচ জয়ী পেনাল্টিসহ দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক এ স্প্যানিশ গোলরক্ষকই।
বেলফেস্টে বুধবার রাতে উয়েফা সুপার কাপের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে টাই-ব্রেকারে ৬-৫ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় চেলসি। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও কোনো গোল না হলে টাই-ব্রেকারেই নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ।

কেপাকে মাঠে নামানোর ব্যাপারটা কিছুটা বিস্ময়করই ছিল বটে। চেলসিতে মাঠের পারফরম্যান্স যাচ্ছে টাই। অথচ গোলরক্ষকদের তালিকায় সবচেয়ে দামী ট্রান্সফারটাই ছিল তার। বাধ্য হয়ে গত মৌসুমের শুরুতে মেন্ডিকে কিনে আনে দলটি। তখন থেকেই চেলসির গোলবারে আস্থা এ সেনেগাল তারকাই। মেন্ডির ইনজুরি কিংবা বিশ্রামে কেবল জায়গা মেলে কেপার।
তবে আগের দিন হুট করে নয়, পরিকল্পনা করেই কেপাকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টুখেল, 'এটা স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না। বার্নসলির বিপক্ষে (এফএ) কাপের প্রথম ম্যাচ শেষে গোলরক্ষকদের নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আমাদের কিছুটা পরিসংখ্যান ছিল। আমরা প্রস্তুতি নিয়েই এমনটা করেছি।'
নতুন মৌসুমে কেপার জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনাই করেছেন টুখেল। নকআউট পর্বের ম্যাচ টাই-ব্রেকারে গড়ালেই বদলি নামাবেন এ গোলরক্ষককে। কারণ চেলসির গোলকিপিং কোচের মতে কেপার পেনাল্টির ঠেকানোর দক্ষতা মেন্ডির চেয়ে ভালো। আর আগের দিন তার প্রমাণও পাওয়া গেল।
টুখেলের ভাষায়, 'পেনাল্টি ঠেকানোর ক্ষেত্রে কেপার অনুপাত ভালো, বিশ্লেষকরা এবং গোলকিপিং কোচ আমাকে এ তথ্য দেখিয়েছে। আমরা খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা বলেছি যে যখন আমরা নকআউট ম্যাচ খেলবো তখন এটা ঘটতে পারে। এডওয়ার্ড সত্যিই দারুণ ভাবে এটা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে দুর্দান্ত।'
Comments