সেই ফ্রাঙ্কফুর্টই ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন

জাভি হার্নান্দেজের অধীনে চলতি বছরে দুর্দান্ত খেলছিল বার্সেলোনা। তাতে মনে হয়েছিল অন্তত ইউরোপা লিগ শিরোপা জিততে পারে দলটি। কিন্তু কাতালানদের ঘরের মাঠে এসে তাদের বিদায় করে দেয় জার্মান ক্লাব এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেই দলটিই শেষ পর্যন্ত ইউরোপা লিগ শিরোপা জিতেছে।

বুধবার রাতে সেভিয়ায় ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতার ফাইনালে টাই-ব্রেকারে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্র্যাঙ্কফুর্ট। নির্ধারিত সময়ের খেলে ১-১ গোল ড্র হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচটি। সেখানে গোল না হলে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয় টাই-ব্রেকারে।

এ জয়ে কাটল ফ্রাঙ্কফুর্টের ৪২ বছরের খরা। সেই ১৯৮০ সালের পর কোনো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিততে পারেনি তারা। সেবার স্বদেশী ক্লাব বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে হারিয়ে উয়েফা কাপ (বর্তমানে ইউরোপা লিগ) জিতেছিল দলটি।

আসরে এবার বার্সেলোনার পাশাপাশি রিয়াল বেতিস, ও ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ফ্রাঙ্কফুর্ট। পুরো আসরেই অপরাজিত থেকেছে তারা। অথচ বুন্ডেসলিগায় এবার তারা ১১ নম্বরে থেকে শেষ করেছে। এই শিরোপা জয়ে নিশ্চিত হয়ে গেল আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও।

টাইব্রেকারে প্রথম তিনটি করে শটে লক্ষ্যভেদ করে দুই দলই। এরপর অ্যারন র‌্যামসির নেওয়া রেঞ্জার্সের চতুর্থ শটটি ঠেকিয়ে দেন ফ্রাঙ্কফুর্ট গোলরক্ষক কেভিন ট্রাপ। সে ব্যবধান শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে তারা। নিজেদের পঞ্চম ও শেষ শটে রাফায়েল সান্তোস বোরে লক্ষ্যভেদ করতেই জয়ের উল্লাসে মাতে দলটি।

এদিন ম্যাচেও আধিপত্য ছিল ফ্রাঙ্কফুর্টের। যদিও মাঝমাঠের দখল প্রায় সমানে সমান। তবে ২২টি শট নেয় জার্মান ক্লাবটি। যদিও লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে কেবল ৪টি। অন্যদিকে ১৪টি শট নিয়েই ৬টি লক্ষ্যে রাখে রেঞ্জার্স।

প্রথমার্ধে কোনো দলই জালের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিট যেতেই নিজেদের ভুলে গোল হজম করে জার্মান দলটি। জিব্রিল সোর ব্যাক হেড ধরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান ডিফেন্ডার তুতো। ফাঁকায় বল পেয়ে বক্সে ঢুকে জোরালো শটে জালে খুঁজে নেন জো আরিবো। ৬৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে ফ্রাঙ্কফুর্ট। বাঁ প্রান্ত থেকে ফিলিপ কোস্তিচের ক্রস থেকে গোল মুখে আলতো টোকায় বল জালে পাঠান বোরে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago