স্কটল্যান্ড বধের পর ওয়েলসকেও হারাতে চায় ইউক্রেন

মাঠে যখন খেলোয়াড়রা প্রবেশ করে তখন প্রত্যেকের হাতেই ছিল জাতীয় দলের পতাকা। তেমনি গ্যালারিতেও প্রায় সবার হাতেই। আর চোখে পানি। ম্যাচটা যে শুরু খেলাই নয় ইউক্রেনীয়দের জন্য, যেন এক আবেগি বার্তা দিতে এসেছে দলটি। আর তা ভালোভাবেই দিয়ে গেল বিশ্ববাসীকে। তবে ম্যাচটাও জিতে নিয়েছে দলটি। এখন তাদের সামনে ওয়েলস। সে বাধা অতিক্রম করতে পারলেই স্বপ্নের বিশ্বকাপ।
বুধবার রাতে গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে কাতার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্লে-অফ সেমি-ফাইনালে স্কটল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইউক্রেন। দলের হয়ে গোল তিনটি করেছেন আন্দ্রে ইয়ারমোলেঙ্কো, রোমান ইয়ারেমচুক ও আর্তেম দোভবিক। স্কটিশদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ক্যালাম ম্যাকগ্রেগর।
বিশ্বকাপে এর আগেও খেলেছে ইউক্রেন। আন্দ্রে সেভচেঙ্কোর সে দলটি ২০০৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিল। তবে এবারের বিশ্বকাপ আসরটা তাদের কাছে যেন ভিন্ন কিছু। কারণ রাশিয়ানদের আক্রমণে তাদের ঘর পুড়ছে। দেশের অনেকেই হুট করে এখন হয়ে গেছেন শরণার্থী। সেই আক্রমণের পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ জিতেই কাতার বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখল তারা।
এক প্রকার দাপুটে ফুটবল খেলেই জিতেছে দলটি। শুরুতে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও জালের দেখা মিলছিল না তাদের। ৩৩তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন ইয়ারমোলেঙ্কো। এরপর ৪৯তম মিনিটে ব্যবধান করেন ইয়ারেমচুক। ৭৯তম মিনিটে অবশ্য একটি গোল শোধ করে স্কটিশদের ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন ম্যাকগ্রেগর। তবে যোগ করা সময়ে ইউক্রেনের জয় নিশ্চিত করেন আর্তেম।
প্লে-অফ ফাইনালে আগামী রোববার কার্ডিফে ওয়েলসের মুখোমুখি হবে ইউক্রেন। তবে এদিনের ম্যাচটিই ফাইনাল মেনে খেলতে নেমেছিল ইউক্রেন। অধিনায়ক ওলেকজান্ডার জিনচেঙ্কোর ভাষায়, 'সবাই আমাদের পরিস্থিতি জানে এবং প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য ফাইনাল। আমাদের স্বপ্ন একটাই বিশ্বকাপে যাওয়া। আমাদের তাই আরও একটি ম্যাচ আছে। আমাদের সেটা জিততে হবে। অন্যথায় এই ম্যাচ জয়ের মূল্য নেই আমাদের কাছে।'
Comments