ইংল্যান্ডের কাছে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া

ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্দানের পেসের ঝাঁজে শুরুতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। পরে লেগ স্পিন দিয়ে চাপ তৈরি করেন আদিল রশিদ-লিয়াম লিভিংস্টোনরাও। অ্যারন ফিঞ্চ টিকে থেকে কিছু রান আনলেও অস্ট্রেলিয়া পায়নি লড়াইয়ের পুঁজি। মামুলি রান তাড়ায় জস বাটলার হয়ে উঠেন বিস্ফোরক। তার উত্তাল ব্যাটিংয়ে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই শেষ পর্যন্ত হয়েছে একপেশে।

শনিবার দুবাইতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করে অজিদের করা মাত্র ১২৫ রান ৫০ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় ইংলিশরা।

দলকে জেতাতে মাত্র ৩১ বলে ৫ চার, ৫ ছক্কায় ৭১ করে অপরাজিত থাকেন বাটলার। এর আগে অবশ্য জেতার পরিস্থিতি তৈরি করে দেন বোলাররাই। ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরাও হয়েছে পেসার জর্দান।  এই জয়ে সেমিফাইনালে অনেকটা পা দিয়েই রাখল ইংল্যান্ড।

এদিন অবশ্য এক ইনিংসেই হয়ে যায় ফয়সালা। ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটেও পেসারদের গতি, সিম পজিশনে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ফিঞ্চদের ইনিংস। ২১ রানে ৪ আর ৫১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর তাদের আর লড়াইয়ের অবস্থা ছিল না।

১২৬ রান তাড়ায় নেমে খুনে মেজাজে নামেন বাটলার-রয়। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউডদের পিটিয়ে রান বন্যা বইয়ে দিতে থাকেন তারা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই চলে আসে ৬৫ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে রয়ের ব্যাট ছিল চওড়া। এদিন তাকে শান্ত রেখে উত্তাল হন বাটলার। পাওয়ার প্লের ঠিক পর ২০ বলে ২২ করে থামেন রয়। বাটলার ২৫ বলে ফিফটি তুলে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেন। তিনে নেমে দাবিদ মালান ফিরে গেলেও জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে তড়িঘড়ি খেলা শেষ করে দেন তিনি।

এর আগে টস জিতে বল হাতে নিয়েই অজি ইনিংস লণ্ডভণ্ড করে দেয় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারে ওকসের দারুণ বাড়তি বাউন্সে কিপারের হাতে ধরা দেন ডেভিড ওয়ার্নার। পরের ওভারে স্টিভেন স্মিথকে শিকার ধরেন জর্দান। চতুর্থ ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে দেন ওকস। আদিলের গুগলিতে কাবু হয়ে মার্কাস স্টনিয়স এলবিডব্লিউ হলে ২১ রানে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।

ম্যাথু ওয়েড- ফিঞ্চ মিলে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। তেমন লাভ হয়নি। উইকেট পতন কিছুটা আটকালেও রানের চাকায় আর গতি দিতে পারেননি তারা। ১৯তম ওভারে ৪৯ বলে ৪৪ করে জর্দানের শিকার হয়ে ফিঞ্চ বিদায় নেন ধুঁকতে ধুঁকতে। শেষ দিকে অ্যাস্টন অ্যাগার, কামিন্স, স্টার্কদের ছোট ছোট অবদানে কিছু রান বাড়ায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের কাছে সেটা হয়ে যায় একেবারেই মামুলি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া:  ২০ ওভারে ১২৫ (ওয়ার্নার ১, ফিঞ্চ ৪৪, স্মিথ ১, ম্যাক্সওয়েল ৬, স্টয়নিস ০, ওয়েড ১৮, অ্যাগার ২০, কামিন্স ১২, স্টার্ক ১৩, জাম্পা ১, হ্যাজেলউড ০* ; আদিল ১/১৯, ওকস ২/২৩, জর্দান ৩/১৭, লিভিংস্টোন ১/১৫, মিলস ২/৪৫)

ইংল্যান্ড: ১১.৪ ১২৬/২  (রয় ২২, বাটলার ৭১*, মালান ৮, বেয়ারস্টো  ১৬* ; স্টার্ক ০/৩৭, হ্যাজেলউড ০/১৮, কামিন্স ০/১৪, অ্যাগার ১/১৫, জাম্পা ১/৩৭)

ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ক্রিস জর্দান।