বাংলাদেশকে দারুণ জবাব দিচ্ছে ওমান

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে আকাশে বল তুলে দিয়েছিলেন দেন জতিন্দর সিং। ১১ রানে ব্যাট করছিলেন তখন এ ওপেনার। উইকেটের কাছে সেই ক্যাচ লুফে নিতে বেশ কয়েক জন ফিল্ডার এসেছিলেন ছুটে। তবে দায়িত্বটা নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেই। কিন্তু কি করলেন তিনি? বল ছুটে গেল হাত ফসকে। ম্যাচটাই কি ছিটকে দিলেন অধিনায়ক?

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে আকাশে বল তুলে দিয়েছিলেন দেন জতিন্দর সিং। ১১ রানে ব্যাট করছিলেন তখন এ ওপেনার। উইকেটের কাছে সেই ক্যাচ লুফে নিতে বেশ কয়েক জন ফিল্ডার এসেছিলেন ছুটে। তবে দায়িত্বটা নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেই। কিন্তু কি করলেন তিনি? বল ছুটে গেল হাত ফসকে। ম্যাচটাই কি ছিটকে দিলেন অধিনায়ক?

পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আগ্রাসী ভূমিকায় সেই জতিন্দর। রানের চাকা সচল রেখে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ওমানকে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৭০ রান তুলেছে দলটি। জতিন্দর ৩০ ও অধিনায়ক জিসান মাকসুদ ৪ রানে ব্যাট করছেন। যদিও জিততে হলে পরের ১০ ওভারে আরও ৮৪ রান করতে হবে স্বাগতিকদের। তবে হাতে রয়েছে ৮টি উইকেট। 

এখন পর্যন্ত ওমানকে দুটি ধাক্কা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। আর এ দুটিই এসেছে মোস্তাফিজুর রহমানের হাত ধরে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আকিব ইলিয়াসকে ফেরান এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে। আর ষষ্ঠ ওভারে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিণত করে ফেরান কেশ্যাপ প্রজাপতিকে। তবে সে ওভারেই ফেরাতে পারতেন জতিন্দরকে। দুর্ভাগ্য তার।

তবে উইকেট পেলেও রানের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মোস্তাফিজ। প্রথম ওভারে দিয়েছেন পাঁচটি ওয়াইড। দুই ওভারেই খেয়েছেন একটি করে ছক্কা। রান খরচ করেছেন ১৯টি।

অবশ্য লক্ষ্য তাড়ায় এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী ওমান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মারেন বাউন্ডারি। প্রথম ওভারে আসে ১২ রান। দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারালেও রানের গতি কমেনি তাদের। সেখানে পাওয়ার প্লেতে ২৯ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। সেখানে এ রান টপকে যেতে ৩.২ ওভার লাগে ওমানের। শেষ পর্যন্ত পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৪৭ রান করে দলটি।

জতিন্দরকে ফেরানোর অবশ্য আরও একটি সুযোগ ছিল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ঠিকভাবে থ্রো করতে তাকে রানআউট করতে পারতেন সাকিব। এক বল পর প্রজাপতির ক্যাচ মিস করেছেন মোস্তাফিজুর। যদিও কিছুটা দুরূহ ছিল। তৃতীয় স্লিপে ঝাঁপিয়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। হাতে লাগালেও লুফে নিতে পারেননি।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। জীবন পেয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি লিটন। তিন নেমে ব্যর্থ শেখ মাহেদী হাসান। তবে তৃতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ৮০ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন মোহাম্মদ নাঈম। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ছোট ইনিংসে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। 

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। ৫০ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন এ ওপেনার। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। ২৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে এ রান করেছেন তিনি। এ দুই ব্যাটার ছাড়া কেবল মাহমুদউল্লাহই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন। ১৭ রান করেন তিনি।

এদিন দারুণ বোলিং করেছেন ওমানের তিন পেসার বিল্লাল খান, কলিমুল্লাহ ও ফাইয়াজ বাট। ৩০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন ফাইয়াজ। মাত্র ১৮ রান খরচ করে ৩টি উইকেট পেয়েছেন বিলাল। ২টি শিকার কলিমুল্লাহর।

Comments

The Daily Star  | English

Prolonged Middle East conflict to affect Bangladesh: PM

Prime Minister Sheikh Hasina today told parliament that the ongoing conflict in the Middle East, if escalates and gets prolonged, will affect Bangladesh socially, politically, and economically

30m ago