বাংলাদেশের ইনিংসে কেন এত ‘ডট বল’

বুধবার আবুধাবিতে আগে ব্যাট করে পুরো কুড়ি ওভার ব্যাট করেও বাংলাদেশ করে ৯ উইকেটে ১২৪ রান। তাও এই রান হতো না যদি না নয় নম্বরে নেমে নাসুম আহমেদ দুই ছক্কায় অপ্রত্যাশিতভাবে ৯ বলে ১৯ না করতেন
বাংলাদেশের ইনিংসে এমন শটের সংখ্যা ছিল কম।

মোট ১২০ বলের খেলা। সেখানে ৫২টি বল থেকেই কোন রান নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানদের মতো পেশিবহুল ব্যাটার না থাকায় এতগুলো ডটবলের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে যা হওয়ার কথা হয়েছে সেটাই। বাংলাদেশের পুঁজি হয়েছে অল্প। বাংলাদেশের ব্যাটাররা ধুঁকলেও রান তাড়ায় একই পিচে ঝড় তোলা জেসন রয় মনে করেন, তাদের বোলারদের মাত্রাতিরিক্ত ভালো বোলিং মূলত দমিয়ে রেখেছে মাহমুদউল্লাহদের। 

বুধবার আবুধাবিতে আগে ব্যাট করে পুরো কুড়ি ওভার ব্যাট করেও বাংলাদেশ করে ৯ উইকেটে ১২৪ রান। তাও এই রান হতো না যদি না নয় নম্বরে নেমে নাসুম আহমেদ দুই ছক্কায় অপ্রত্যাশিতভাবে ৯ বলে ১৯ না করতেন। নাসুম ছাড়া আর কেউ ছক্কাই মারতে পারেন। বাংলাদেশের ইনিংসের দীনতা বোঝাতে পারে এই তথ্যও। 

বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোরার মুশফিকুর রহিম ২৯ রান করতে খেলেছেন ৩০ বল। মাহমুদউল্লাহ ২৪ বল খেলে করেন ১৯। দ্রুত রান আনার চাহিদার সময় নেমে নুরুল হাসান সোহান ১৮ বল খুইয়ে করেন কেবল ১৬ রান। 

বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে যে কারো মনে হতে পারে উইকেটে বুঝি ভীষণ কোন জুজু। কিন্তু কোথায় কি! রান তাড়ায় রয় দেখালেন তেমন কিছুই না। তার ৩৭ বলে ৬১ রানে ৩৫ বল আগেই শেষ হয়ে গেল খেলা। 

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিস্তর ডটবল খেলা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রতিপক্ষকে আর বিব্রত করতে চাইলেন না তিনি। বরং নিজেদের বোলারদের দিলেন কৃতিত্ব,   'হ্যাঁ, আমরা মাত্রাতিরিক্ত ভাল বল করেছি। বোলাররা কোন সুযোগই দেয়নি। আমার মনে হয় না আমাদের কোন ভুল হয়েছে। আমরা সবগুলো ক্যাচ নিয়েছি, বল করেছি নিঁখুত। উইকেট সামান্য মন্থর ছিল। যদি গুড লেংথে সোজা বল করা হয় সেটা অনেক সময় খেলা কঠিন। আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পেয়েছি। পরে সেটা ধরে রেখেছি।' 

ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ৪ ওভার বল করে ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বাঁহাতি পেসার টাইমাল মিলস। ডানহাতি পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে পান ১ উইকেট। শুরুতেই ২ উইকেট নেওয়া অফ স্পিনার মঈন আলি ৩ ওভারে দেন ১৮ রান। অবাক করেছেন অনিয়মিত লেগ স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩ ওভারে কেবল ১৫ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট। 
 

 

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

9h ago