‘হট জোন’ আর ধৈর্য রেখে ইনস্যুয়িং-আউটস্যুয়িংয়ে বারণ!

Ebadat Hossain & allan donald
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সেন্টার উইকেটে আম্পায়ারের ভূমিকায় অ্যালান ডোনাল্ড। বল করছিলেন ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমদ। আম্পায়ারের জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রতিটি বলের পর তিন পেসারকে নানান কিছু বলছিলেন তিনি। এমনকি নেট বোলারদের সঙ্গেও আলাপচারিতা শেষ হচ্ছিল না তার। লম্বা সেশনের পর সেসব কথার কিছুটা জানা গেল।

বাংলাদেশের উইকেটগুলোতে সাধারণত পেসারদের খুব বেশি আলাদা সহায়তা নেই। গতি আর বাউন্স মিলবে না।  ফ্লাট উইকেটে পেসারদের কোন পথে হাঁটতে হবে তা খুব ভাল করে বুঝতে পারছেন ডোনাল্ড।

নিজের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের মাঠে কখনো খেলেননি ডোনাল্ড। তবে উপমহাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বিস্তর। এসব উইকেটের চিরায়ত ধরন তাই তার জানা।

চট্টগ্রামে গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে এই প্রোটিয়া কোচ ইবাদত-খালেদদের সংযমী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন,  'পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কাতে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হয় এই ধরণের উইকেটে সোজা লাইনে বল করা জরুরি। নতুন বল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েকদিনের অনুশীলনে নতুন বলে জোর দিয়েছি। খুঁজে বের করা দরকার কোথায় হট জোন।  ইনসুইং, আউট সুইংয়ের মতো বিলাসী বোলিংয়ের চেয়ে প্রক্রিয়া ধরে রাখার দিকে মনোযোগী হওয়ার কথা বলেছি তাদের।'

বৃহস্পতিবার পুরো সেশনেই কাজ করা হয়েছে পুরনো বলে। বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ চান পুরনো বলেই পেসারদের সৃজনশীলতা। ইনস্যুয়িং, আউটস্যুয়িংয়ে বারণ করলেও রিভার্স স্যুয়িংয়ে বিশেষ গুরুত্ব তার,  'সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে পুরনো বলের বোলিং। আজ কেবলই আমরা পুরনো বলে বল করেছি। প্রতিটি সেশনেই আমি রিভার্স স্যুয়িংকে জোর দিচ্ছি। ধৈর্য ধরতে হবে, পুরনো বলে সৃষ্টিশীল হতে হবে। এই কন্ডিশনে কেমন বল করতে হবে তা বেশি কিছু বলার দরকার নেই। তারা জানে কি আশা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ধৈর্য, অধ্যবসায়, এবং সৃজনশীলতার পরীক্ষা হতে চলেছে।'

গ্রীষ্মের খরতাপে পেসারদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন। টানা বল করার পাশাপাশি নির্দিষ্ট জায়গায় ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ থাকবে প্রবল,  'এখানকার কন্ডিশনে সবারই খুব ঘাম ঝরবে। আর্দ্রতা খুবই বেশি। উপমহাদেশে সাধারণত যেমন থাকে আরকি। ৩০ ওভারের পর আমরা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কতটা চাপ তৈরি করতে পারি, সেটা দেখতে হবে। আর অবশ্যই, বল পুরনো হলে রিভার্স সুইং করাতে হবে। সুতরাং আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। তবে এই কন্ডিশন অবশ্যই পেসারদের পরীক্ষা নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানসিক শক্তি, সৃষ্টিশীলতা ও শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

FY26 Budget: Subsidy spending to hold steady

The budget for fiscal 2025-26 is likely to be smaller than the current year’s outlay, but subsidy spending is expected to remain almost unchanged at Tk 1,15,741 crore.

9h ago