ক্যাম্পাস

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অবরুদ্ধ ৩০ শিক্ষক-কর্মকর্তা ৭ ঘণ্টা পর মুক্ত 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চুল কাটার ঘটনায় চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির এখনও অবসান হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রেজিস্ট্রার, কর্মকর্তাসহ প্রায় ৩০ জন গত ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর আজ সোমবার ভোরে মুক্ত হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রেজিস্টারসহ কর্মকর্তারা একাডেমিক ভবনে গেলে শিক্ষার্থীরা তাদের রোববার বিকেল থেকে আটকে রাখেন। ছবি: স্টার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চুল কাটার ঘটনায় চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির এখনও অবসান হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রেজিস্ট্রার, কর্মকর্তাসহ প্রায় ৩০ জন গত ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর আজ সোমবার ভোরে মুক্ত হয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে অনড় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে নিয়মের বাইরে কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোববার সকাল থেকেই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রেজিস্ট্রারসহ কর্মকর্তারা একাডেমিক ভবনে গেলে শিক্ষার্থীরা তাদের রোববার বিকেল থেকে আটকে রাখেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক রওশন আলম।

আন্দোলনকারীরা তাদের কোনো কথা না শুনেই প্রায় ৭ ঘণ্টা একাডেমিক ভবনে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এসময় একজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ১টার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার জের ধরে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। যদিও প্রশাসনের আশ্বাসে ২ অক্টোবর আন্দোলন থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।

গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া সভা শেষ হওয়ার পর শুক্রবার রাত থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ৭ জন সেসময় অনশন শুরু করেন।

চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীরা কোনো কিছু না বুঝে আবেগ দিয়ে আন্দোলন করার চেষ্টা করছে, ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা হয়েছে।'

আইন সংশোধন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি দল আগামী ২৭ অক্টোবর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English
Strong dollar spillover: How Bangladesh manages it

Strong dollar spillover: How Bangladesh manages it

The crawling peg system for the taka is a delayed response to reserve erosion

3h ago