নামতে শুরু করেছে মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও চিহ্ন রয়ে গেছে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির। বৃষ্টিপাত এবং উজানের পাহাড়ি ঢলের চাপ কমে যাওয়ায়, আজ শুক্রবার সকাল থেকে মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। দুপুর থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার নীচে দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।
ফেনীর ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুর মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন স্থানের পাশেই জাল দিয়ে মাছ ধরছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও চিহ্ন রয়ে গেছে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির। বৃষ্টিপাত এবং উজানের পাহাড়ি ঢলের চাপ কমে যাওয়ায়, আজ শুক্রবার সকাল থেকে মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। দুপুর থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার নীচে দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ শুক্রবার সকাল থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় ও উজানের পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ না থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে পানি নেমে যাচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা শুরু হয়েছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুর রহমান ও আবুল হাসেম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভাবে প্রতিবছর এই এলাকার মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই এলাকার মানুষ ত্রাণ চায় না, তারা দ্রুত ভাঙন মেরামত ও টেকসই বাঁধ চায়।’

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় টানা বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদী ও কহুয়া নদীর তিনটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। এতে উজানের পানি উপচে পড়ে দুই উপজেলার নয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়। গ্রামগুলোর মধ্যে আছে--ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর, ঘনিয়া মোড়া, পূর্ব ঘনিয়া মোড়া, কিসমত ঘনিয়া মোড়া, উত্তর দৌলতপুর, বৈরাগপুর, জগতপুর এবং পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া ও চিথলিয়া।

বন্যায় তলিয়ে যায় সবজি ও আমনের কিছু বীজতলা। ভেঙে যায় গ্রামীণ সড়ক, ভেসে যায় বেশ কিছু পুকুরের মাছ। পাহাড়ি ঢলে দুটি উপজেলায় প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

তবে, ইতোমধ্যে গ্রামীণ সড়ক থেকেও পানি নেমে গেছে। ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করে দ্রুত বাঁধ মেরামতের কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

ফুলগাজী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।’

এর আগে, জুন মাসের প্রথম দিকে ফেনীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়।

Comments