প্রাকৃতিক দুর্যোগ

সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সাতক্ষীরায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টি অব্যাহত আছে। আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সাতক্ষীরায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টি অব্যাহত আছে। আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।

সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকা আশাশুনি ও শ্যামনগরের নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৩ দিনের টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

সাতক্ষীরার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রোববার থেকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জাওয়াদের প্রভাবে উপকুলীয় এলাকায় ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা আছে। বর্তমানে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি আছে।

তিনি আরও জানান, এ অবস্থায় জেলেদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। আগামীকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের জেলে আব্দুল রহমান জানান, বৈরি আবহাওয়ায় নৌকা নিয়ে শনিবার লোকালয়ে চলে এসেছে। যারা সুন্দরবনের গভীরের নদ-নদীতে আছে তারাও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

আশাশুনির প্রতাপনগর এলাকার সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ জানান, মানুষ ইয়াসের পর মাত্র ভিটায় ফিরতে শুরু করেছে। আবার বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাসে তাদের জীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে কুড়িকাউনিয়া হরিশখালি ও বন্যতলা এলাকার রিং বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে।

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে এ দ্বীপের মানুষ বেঁচে আছে। ঝড় তাদের কাবু করতে না পারলেও জলোচ্ছ্বাস তাদের কাবু করে ফেলে। জোয়ার পানি বেশি বৃদ্ধি পেলে ক্ষতির আশঙ্কা আছে।

উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মণ্ডল জানান, শনিবার থেকেই উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। আর রোববার রাত থেকে হালকা বাতাস বইছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের কয়েকটি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আতঙ্ক আছেন স্থানীয়রা।

Comments

The Daily Star  | English

Beyond Dollar: Bangladesh to seek over 36b yuan in Chinese loans

Bangladesh is going to seek more than 36 billion yuan, equivalent to $5 billion, as soft loans from China to reduce pressure on its dollar reserves.

4h ago