তুরাগ নদে ভেসে উঠল মৃত গাঙ্গেয় শুশুক

ঢাকার সাভারে তুরাগ নদ থেকে একটি মৃত গাঙ্গেয় শুশুক (ডলফিন) উদ্ধার করা হয়েছে। শুশুকটি লম্বায় প্রায় ৫ ফুট এবং ওজন ৩ মণ।
রোববার বিকেলে তুরাগ নদের আশুলিয়া বাজার ঘাট এলাকায় মৃত শুশুকটি ভাসতে দেখে সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় কয়েকজন জেলে সেটিকে তীরে তোলেন।
স্থানীয়রা জানান, শিল্প কারখানার দূষিত তরল বর্জ্যের কারণে নদীর পানি অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় শুশুকটি মারা গেছে।
আশুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিকেলে তুরাগ নদের আশুলিয়া বাজার ঘাটে মাছ ধরছিলেন কয়েকজন জেলে। এ সময় বিশাল আকারের মৃত শুশুকটিকে ভাসতে দেখেন। পরে জাল দিয়ে টেনে তীরে তুলে আনেন। শুশুকটির মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। মূলত নদীর পানিতে শিল্প কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য মাত্রাতিরিক্ত হারে মিশ্রিণের কারণে ডলফিনটি মারা গেছে।'
সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা হলো গাঙ্গেয় শুশুক। একসময় পদ্মা ও যমুনায় এই প্রজাতির শুশুকের অভয়াশ্রম ছিল। মূলত এরা স্তন্যপায়ী জাতীয় প্রাণী। তবে এই অঞ্চলে গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে এরকমের শুশুক দেখা যায়নি বা শোনা যায়নি। আগে বুড়িগঙ্গায় এ প্রজাতির শুশুক দেখা যেত। হয়তো কোনোভাবে বুড়িগঙ্গাতে চলে এসেছিল, পরে বুড়িগঙ্গা হয়ে তুরাগে এসেছে।'
তিনি বলেন, 'বিভিন্ন কারণে এটা মারা যেতে পারে। যেমন ঢাকার আশপাশের পরিবেশ-প্রতিবেশ দূষণের কারণে জলজ জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। সেইসঙ্গে এই প্রাণির যে খাদ্যাভাস সেটা তুরাগ নদীতে নেই। বিষাক্ততা, খাদ্য স্বল্পতা, কোনো রোগে আক্রান্তের কারণেও এটা মারা যেতে পারে। মৃত্যুর কারণটা নিশ্চিত হওয়া এবং গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের গবেষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।'
Comments