জাপানে ঈদুল আজহা উদযাপিত

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা পালন করেছেন জাপানে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের মুসলিম নাগরিকরা।
আজ রোববার সকালে ঈদুল আজহার নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদের আনুষ্ঠানিকতা। জাপানের মসজিদগুলোতে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়। বেশিরভাগ মসজিদেই একাধিকবার জামায়াতের আয়োজন করতে হয়েছে।
প্রতিটি জামাতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
জাপানে মুসলিম সংখ্যা অনুপাতে পর্যাপ্ত মসজিদ না থাকায় কিছু শহরে স্থানীয় হল ভাড়া করে ঈদ জামায়াতের আয়োজন করা হয়।
অন্যান্য প্রদেশগুলোর মধ্যে আইচি, গুনমা, তোচিগি ওসাকা, ফুকুওকা, হোক্কাইডো এবং যে শহরগুলোতে মসজিদ নেই সেখানে কমিউনিটি সেন্টার বা হল ভাড়া করে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করেন প্রবাসীরা।
টোকিও ও আশেপাশের জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় জামাতের আয়োজন ছিল সাইতামা প্রদেশের গামো এলাকায় বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সে। এক সঙ্গে প্রায় এক হাজার ২০০ জনের নামাজ আদায়ে সক্ষম এই মসজিদ কমপ্লেক্সে ৩টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামায়াতই ছিল পরিপূর্ণ।
ঈদের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটি রোববার হওয়ায় প্রবাসীদের আনন্দ ভিন্ন মাত্রা পায়।
জাপানে বর্তমানে ২ শতাধিক মসজিদ রয়েছে। আরও বেশ কিছু নির্মাণাধীন রয়েছে।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে পশু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকায় টোকিওর বাহিরের শহর থেকে কুরবানি দিতে হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কুরবানির মাংস হাতে পেতে ২-৩ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
Comments