জাপানে জরুরি অবস্থার এলাকা বাড়ছে

জাপানে করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান জরুরি অবস্থার আওতায় আনা হচ্ছে আরও আটটি প্রিফেকচার। ফলে, দেশটির মোট ২১টি প্রিফেকচার জরুরি অবস্থার আওতায় থাকবে।
নতুন এই আট প্রিফেকচার হলো- হোক্কাইদো, মিয়াগি, গিফু, আইচি, মিএ, শিগা, ওকায়ামা এবং হিরোশিমা।
এছাড়া, দেশটির রাজধানী টোকিও, চিবা, কানাগাওয়া, ওকিনাওয়া, ওসাকা, সাইতামা, ইবারাকি, তোচিগি, গুন্মা, শিযুওকা, কিয়োতো, হিয়োগো ও ফুকুওকা প্রিফেকচারে চলমান জরুরি অবস্থা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
নতুন আট প্রিফেকচারসহ ২১ প্রিফেকচারের জরুরি অবস্থা আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। নতুন আট প্রিফেকচারে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে।
আজ বুধবার রাতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা নিজ কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ ঘোষণা দেন।
কোচি, সাগা, নাগাসাকি এবং মিয়াজাকি প্রিফেকচারে বিশেষ নজরদারির কথা উল্লেখ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুগা বলেন, পরিস্থিতির অবনতি হলে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারবে।
জরুরি অবস্থার অধীনে রেস্তোরাঁতে এ্যালকোহল পরিবেশন বন্ধ, কারাওকে এবং অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র ও শপিং মলে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান সুগা। একইসঙ্গে জনগণকে জনবহুল এলাকায় অকারণে ভ্রমণ ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা এবং সংস্থাগুলোকে ৭০ শতাংশ টেলিওয়ার্ক করানোর আহ্বান জানান তিনি।
সুগা বলেন, জাপানের মোট জনসংখ্যার অন্তত ৫৪ শতাংশ প্রথম ডোজ এবং ৪৩ শতাংশ দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন পেয়েছেন। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রদান শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলেছে। এখন গড়ে প্রতিদিন ১৫ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
জুনিয়র হাইস্কুল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা অনুসরণ করার আহ্বান জানান সুগা।
সুগা বলেন, মহামারিতে হাসপাতালে শয্যা স্বল্পতার বাস্তবতা মেনে বাড়িতে চিকিৎসা নিতে পারলে করোনা মোকাবিলায় অনেকটা সফল হওয়া যাবে। একইসঙ্গে সবাইকে যথাযথভাবে করোনার স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শসহ বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
গত সপ্তাহে ন্যাশনাল গভর্নরস এ্যাসোসিয়েশন সংক্রমণ বিস্তার রোধে কেন্দ্রীয় সরকারকে পুনরায় দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারির আহবান জানায়।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে টোকিও গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। আজ বুধবার থেকে মোট ২২টি ক্রীড়ার নানা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর আসরের শেষ হবে। টোকিও হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র শহর যেখানে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিক আয়োজন করা করা হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রায় এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলেও টোকিও গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিক ২০২০ নামেই অভিহিত হবে।
জাপানের সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৬ হাজার ৬১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৫ হাজার ৭৬৭ জন।
Comments