জাপানে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস পালন করেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১।
প্রথম সচিব তুসিতা চাকমার পরিচালনায় টোকিওতে আজ রোববার বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ। এ সময় জাপান সফররত যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম সচিব আরিফ মোহাম্মদের পরিচালনায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান এবং জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সব শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এতে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা–কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল শহীদকে। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি বলেন, 'দেশি-বিদেশি অপশক্তি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা না চাওয়া একাত্তরের পরাজিত শক্তি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করেছিল।'
বাংলাদেশের উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকায় জাপান সরকার ও দেশটির জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনিই বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়।'
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আরও উদ্যম ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন।
Comments