নাগরিকদের ইউক্রেন যুদ্ধে যেতে দেবে না অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থনের জন্য অস্ট্রেলিয়ানদের অস্ত্র হাতে ইউক্রেনে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। 

সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিশ্বের নাগরিকদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের যে কেউ তাদের প্রতিরক্ষায় যোগ দিতে পারে।  

এরই প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধে না যাওয়ার আহ্বান জানান।

এসবিএস নিউজ জানিয়েছে, ক্যানবেরায় ইউক্রেনের দূতাবাস গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের পক্ষে লড়াইয়ে যোগ দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়ানদের কাছ থেকে ২০টি টেলিফোন কল পেয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, 'মানুষের কাছে যাওয়ার এবং দৃঢ় অনুভূতি প্রকাশের বিষয়টি আমি পুরোপুরি বুঝতে পারি। তারপরও জোর দিয়ে বলতে চাই, অস্ট্রেলিয়ানদের নিরাপত্তার জন্য তাদের ইউক্রেনে না যাওয়ার পরামর্শ দেবো।'

ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকরা রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবিলার জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করছে।

অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুসারে, বিদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরি না করলে কোনো অস্ট্রেলিয়ান অন্য দেশের যুদ্ধে জড়াতে পারে না।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস অবশ্য যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের যুদ্ধে যোগদান সম্পর্কে ভিন্ন বার্তা দিয়েছেন।

বিবিসি ওয়ানের সানডে মর্নিং প্রোগ্রামে তিনি বলেন, 'এটি এমন একটি বিষয়, যে বিষয়ে মানুষ নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।'

তিনি আরও বলেন, 'ইউক্রেনের জনগণ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে। সে লড়াই শুধু ইউক্রেনের জন্য নয়, সমগ্র ইউরোপের জন্য। মানুষ যদি সেই সংগ্রামকে সমর্থন করতে চায়, তাহলে নিঃসন্দেহে আমি তাদের সমর্থন করব।'

নিরাপত্তা পরিবেশ ও ইউক্রেনের  সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষের কারণে অস্ট্রেলিয়া নাগরিকদের রাশিয়া ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে।

অস্ট্রেলিয়া সরকার এ পর্যন্ত ন্যাটো অংশীদারদের মাধ্যমে ইউক্রেনে ৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চিকিৎসা ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh continues to perform poorly in budget transparency

Bangladesh has continued to showcase a weak performance in the open budget rankings among its South Asian peers, reflecting a lack of transparency and accountability in the formulation and implementation of fiscal measures.

16h ago