বাংলা নববর্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গণমাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। পহেলা বৈশাখের দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বার্তাটি প্রকাশ করা হয়। বাংলায় 'শুভ নববর্ষ' বলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, 'বাংলা নববর্ষ উদযাপনে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।'
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা যেমন দিন দিন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে বাংলা ভাষা, শিল্প ও সাংস্কৃতিক চর্চা। বিকশিত হচ্ছে বাংলা ঐতিহ্য ও কৃষ্টি। প্রশান্ত মহাসগরের দেশটিতে এখন বাস করছেন প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি। তারা ভিন্ন সংস্কৃতির ভেতরে গড়ে তুলেছেন আরেকটি বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। অলিম্পিক পার্কের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যুতে বৈশাখী মেলায় উপস্থিত হন প্রায় ২০ হাজার বাঙালি। অস্ট্রেলিয়ার মূলধারার রাজনীতিতে এখন বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্ব হয়ে উঠেছে অনিবার্য। ফেডারেল নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করছেন বাংলাদেশিরা। অস্ট্রেলিয়ার 'বাঙালি পাড়াগুলোতে' নিয়মিত উদযাপিত হচ্ছে পিঠা পার্বণ, বসন্ত আড্ডা, বৈশাখী মেলা, নবান্ন উৎসব, ফাগুন বরণ, মেহেদী সন্ধ্যা ও বাউল সন্ধ্যা।
দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিরা হাতে রঙিন চুড়ি পড়ে, পায়ে আলতা মেখে, কোমরে বিছা ঝুলিয়ে, পায়ে নূপুর বাজিয়ে আর শাড়ি পড়ে উপস্থিত হন এসব অনুষ্ঠানে।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বিবৃতিতে বলেছেন, বাঙালি সম্প্রদায় সবার সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য ভাগাভাগি করে। আমরা এ অসাধারণ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সম্মান করি।' তিনি আরও বলেন, 'বহুসাংস্কৃতিক উদযাপন আমাদের নতুন ভবিষ্যতের আশা ও আত্মবিশ্বাস দেয়। বিশ্বাস ও সংস্কৃতি এভাবে ভাগাভাগি করে নেওয়াটাই বন্ধু, পরিবার ও সমাজকে একত্র করে।'
বাঙালির নববর্ষ উদযাপনকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, 'আমরা একটি উন্মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য সফল বহুসংস্কৃতির জাতি। এই নববর্ষ আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ নিয়ে আসুক।'
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments