বেড়েছে করোনার সংক্রমণ, সিডনিতে গান-নাচ নিষিদ্ধ

আজ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬২৫ জন। ১৩৪ জন রয়েছেন নিবিড় পরিচর্যায়। করোনায় মারা গেছেন ১১ জন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত মানুষের প্রকৃত সংখ্যা এই হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি।
মানুষ যা আশা করেছিল তার থেকেও অনেক দ্রুত গতিতে মহামারি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রথম দিকে যখন ওমিক্রন অস্ট্রেলিয়ায় আঘাত হানতে শুরু করে তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছিলেন, কোভিড-১৯ এর সঙ্গে লড়াই করেই আমাদের বাঁচতে হবে। তাই সরকার নতুন করে আর কোন করোনা বিধিনিষেধ আরোপ করবে না।
কিন্তু বর্তমানে করোনার উচ্চ সংক্রমণের কারণে নতুন করে বিধিনিষেধ আসতে শুরু করেছে।
আজ মধ্যরাত থেকে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে নতুন কয়েকটি করোনা বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে। গোটা অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এই রাজ্যটিই মহামারিতে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত।
আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সব পাব, নাইটক্লাব, বার এবং হোটেলগুলোতে কোনো গান বা নাচের অনুমতি থাকবে না।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডমিনিক পেরোটেট বলেছেন, ক্রমবর্ধমান ওমিক্রনের আঘাত মোকাবেলা করতে এই বিধিনিষেধ। নিউ সাউথ ওয়েলস জুড়ে বেশিরভাগ বড় ইভেন্টগুলো কোভিড-১৯ নিরাপদ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে।'
তিনি আরও বলেছেন, পুরো রাজ্য কোভিডের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।'
গত কয়েক সপ্তাহ বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনের কারণে এই রাজ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে দ্রুত গতিতে। যার চুড়ান্ত সংখ্যা এখনো অজানা। ওই সময়ে গোটা রাজ্য উৎসবের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জনগণকে পারিবারিক আতিথেয়তা এবং অভ্যন্তরীণ জমায়েত কমাতে অনুরোধ করেছেন।
সমগ্র অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সব চেয়ে বেশি বাংলাদেশির বসবাস নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে। প্রায় প্রতিদিনই সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। খুব দ্রুত গতিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ জন বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন কমপক্ষে ৫ জন। ওমিক্রন ভীতি এখন ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করেছে বাংলাদেশিরা। পারিবারিক নিমন্ত্রণও এড়িয়ে চলছেন সবাই।
আকিদুল ইসলাম : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments