কুমিল্লায় চাঁদ রাতে বিপণি বিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

কুমিল্লায় ঈদের শেষ মুহূর্তে বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ছে। সোমবার রাত ১০টায় একে ফজলুল হক সড়কের খন্দকার হক, সাত্তার খানসহ বিভিন্ন বিপণি বিতানগুলোর পাশাপাশি জিলা স্কুল রোডে নিউমার্কেট, প্ল্যানেট এস আরসহ অন্যান্য শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে গিয়ে প্রচুর ক্রেতা সমাগম দেখা যায়।
এছাড়াও বাদুড়তলার কিউ আর, টাউনহল সুপার মার্কেট, রেসকোর্সের ইস্টার্ন প্লাজা, নজরুল এভিনিউ এলাকা, মনোহরপুরের-রামঘাট এলাকার খাদি পোশাকের দোকানগুলোতে হাজারো ক্রেতাকে ভিড় করতে দেখা গেছে।
নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী আরিফুর বাবু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ২ বছরে করোনায় ঈদে ব্যবসায় যা ক্ষতি হয়েছে এবার তার কিছুটা লাঘব হবে। শেষ মুহূর্তে তরুণ বয়সীরাই মূলত বেশি কেনাকাটা করছেন।
আবুল কালাম নামের এক তরুণ বলেন, কুমিল্লায় দোকানগুলোতে পছন্দের পণ্য কিনতে অনেক দরদাম করতে হয়। এখানে পণ্যের অনেক বেশি দাম হাঁকা হয়।
বিক্রেতাদের মতে, ঈদ বাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা ব্যাপক হলেও থান কাপড় ও দর্জির দোকানগুলোতে ভিড় অপেক্ষাকৃত কম।
জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, '২ বছর পর এবার ব্যবসায়ীরা অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে বেচাকেনা করতে পারছেন।'
শুধু কুমিল্লা শহরই নয় জেলার ১৭ উপজেলা ও আশপাশের জেলা ফেনি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকেও মানুষ এখানে কেনাকাটা করতে আসছেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঈদের কেনাকাটা নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছেন। যানজট নিরসন ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতে বাড়তি টহল ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। প্রত্যেক থানায় মোটর সাইকেল কুইক রেসপন্স টিমও গঠন করা হয়েছে।
Comments