ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৪৮ শতাংশ

ছবি: রাজীব রায়হান

২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে রেকর্ড রপ্তানি আয় ৪৮.২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, আগের রেকর্ডগুলো ছিলো গত বছরের অক্টোবরে ৪.৭২ বিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে ৪.১৬ বিলিয়ন ডলার এবং নভেম্বরে ৪.০৪ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানি আয় প্রায় প্রতি মাসে নতুন রেকর্ড করছে। এর পেছনের অন্যতম কারণ পণ্যের উচ্চ চালান। বিশেষ করে করোনা মহামারির আঘাত থেকে পশ্চিমা অর্থনীতি পুনরায় চালু হওয়ায় পোশাক রপ্তানি বেড়েছে।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, করোনা মহামারিতে সরকারের কারখানা চালানোর সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্যভাবে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ ক্রেতাদের বাংলাদেশের ওপর আস্থা বেড়েছে।

ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় এতটাই বেড়েছে যে মাসিক লক্ষ্যমাত্রা ৩.৯১ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি হয়েছে।

এ ছাড়াও, পর্যায়ক্রমিক তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আয় ২৮.৪১ শতাংশ বেড়ে ২৪.৬৯ বিলিয়ন হয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরের ডিসেম্বরে পোশাক রপ্তানি আয় ২৮.০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৯.৯০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

পোশাক চালান থেকে আয়ের মধ্যে ১১.১৬ বিলিয়ন ডলার এসেছে নিটওয়্যার থেকে, যা বছরে ৩০.৯১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ওভেন থেকে এসেছে ৮.৭৩ বিলিয়ন, যা বছরে ২৪.৫০ শতাংশ।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক রপ্তানির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এ বছরের জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কারণ আমরা ইতোমধ্যে ক্রয়াদেশ পেয়েছি।

ক্রেতারা প্রতি ইউনিট গার্মেন্টস ইউনিটের দাম ১০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে বাড়িয়েছে এবং গত কয়েক মাসে ভলিউম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে, কাটিং ও মেকিং চার্জের প্রকৃত মূল্য বাড়েনি বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো মূলত কাঁচামালের মূল্য এবং মালবাহী শুল্ক বৃদ্ধির কারণে পোশাক পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

NCC ex-mayor Selina Hayat Ivy arrested

She was arrested around 5:45am today following a night-long raid at her Deobhog residence

42m ago