পাকিস্তানের পাঞ্জাব পার্লামেন্টে স্পিকারকে লক্ষ্য করে বদনা নিক্ষেপ

নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের আগে আজ শনিবার পাকিস্তানের পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পার্লামেন্টের অধিবেশনে মারামারি ও ডেপুটি স্পিকারকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, এসব ঘটনার কারণে বিকেল ৫টার পর অধিবেশন ও ভোট শুরু হয়। পরে পিএমএল-কিউ নেতা চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে ভোটে হারিয়ে পিএমএল-এনের হামজা শাহবাজ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। হামজা শাহবাজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে।
তিনি ১৯৭ ভোট নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তবে পিএমএল-কিউ ও পিটিআই নির্বাচন বয়কট করায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী পারভেজ এলাহি কোনো ভোট পাননি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন ও জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম যখন অধিবেশন শুরুর কথা ছিল, তখন পিএমএল-এনের প্রাদেশিক এমপিদের সঙ্গে পিটিআই ও পিএমএল-কিউয়ের প্রাদেশিক এমপিদের বাগবিতণ্ডা ও মারামারি শুরু হয়।

ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মোহাম্মদ মাজারি যখন সেখানে প্রবেশ করেন, তখন পিটিআইয়ের এমপিরা তার দিকে একের পর এক বদনা ছুড়তে থাকেন এবং তাকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করেন। একজন এমপি তার চুলও টেনে ধরেন। নিরাপত্তারক্ষীরা তখন মাজারিকে উদ্ধার করে তার চেম্বারে নিয়ে যান।
এদিকে, নতুন করে অধিবেশন শুরুর আগে এমএল-কিউ নেতা চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে আহত অবস্থায় দেখা গেছে। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, এলাহিকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে এবং তার হাতে ব্যান্ডেজ। পিএমএল-এনের এমপিরা তার হাত ভেঙে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

সবকিছুই পূর্ব পরিকল্পিত ছিল দাবি করে এলাহি বলেন, 'আমাকে শেষ করার ইচ্ছা নিয়ে তারা আজ আমাকে মারধর করেছে। সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে তারা।'
আদালত গরিবের জন্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আল্লাহর কাছে ন্যায়বিচার চাইব।'
এদিকে, ডেপুটি স্পিকারকে আক্রমণ করার কারণে পাঞ্জাব পার্লামেন্টের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ৩ জনই পিটিআইয়ের। গ্রেপ্তারের ঘটনায় পিটিআই অধিবেশন বয়কট করে।
নতুন মুখ্যমন্ত্রী হামজা তার পরিবারের তৃতীয় সদস্য, যিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তার বাবা শাহবাজ শরিফ এবং চাচা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও এই পদে ছিলেন।
Comments