অভিনয়ে কখনো এক বিন্দু ফাঁকি দেইনি: শাহনাজ খুশি
বাংলা নাটকের দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। একসময় আরণ্যক নাট্যদলে কাজ করতেন এই অভিনেত্রী। পরে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের মুখোমুখি শাহনাজ খুশি।
আপনাকে গ্রামীণ গল্পের নাটকে বেশি দেখা যায় কেন?
আমি শিল্পী। একজন শিল্পীর কাজ অভিনয় করা। আমিও তাই করি। পরিচালকরা যে গল্পে ও চরিত্রে আমাকে নেন আমি তাতে অভিনয় করি। শহরের চরিত্রে কেন নেন না তা নিয়ে আমি ভাবি না। অভিনয় নিয়ে ভাবি। শহুরে চরিত্রের জন্য কেউ ডেকেছেন কি না মনে পড়ে না। কিন্তু, এটা নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই। গ্রামীণ গল্পের নাটক করে আমিও আনন্দ পাই।
একজন শিল্পী হিসেবে কোনো অপূর্ণতা আছে?
আছে, অপূর্ণতা আছে। কখনো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী চরিত্রে অভিনয় করতে পারিনি। এজন্য আমার ভেতরে এক ধরেনর অপূর্ণতা কাজ করে। মনের মতো চরিত্রে এখনো অভিনয় করতে পারিনি। আবার সঠিক বয়সে সঠিক চরিত্রে অভিনয় করতে পারিনি।
যে কোনো চরিত্রে সাবলীলভাবে মিশে যাওয়ার মূল রহস্য কী?
কল্পনার সঙ্গে বসবাস করে কোনো চরিত্রে অভিনয় করি না। বাস্তবতা মেনে অভিনয় করি। আমার অভিনীত চরিত্রগুলো অনেকটাই খুব কাছ থেকে দেখা। এজন্য হয়তো যে কোনো চরিত্রকে সহজেই আপন করে নিতে পারি। সেটে আমার কল টাইম সাড়ে আটটা মানে সাড়ে আটটাই। দশ মিনিট পরে নয়। দশ মিনিট আগে হবে। এভাবেই আমি শিল্পীজীবন মেনে আসছি। অভিনয়কে ভালোবাসি, তাই অভিনয়ে কখনো এক বিন্দু ফাঁকি দেইনি।
একসময় নিয়মিত মঞ্চে অভিনয় করতেন, এখন দূরে থাকার কারণ কী?
মঞ্চে অনেকদিন অভিনয় করেছি। একসময় সন্তানের মা হলাম। ওদের নিয়ে শো করা কঠিন হয়ে পড়ে। দেখা গেছে দুই বাচ্চাকে নিয়ে শো করতে মঞ্চে উঠেছে, তখনই ওরা কান্না শুরু করল। এভাবে অভিনয়ে মনোযোগ দেওয়া যায় না। এ কারণে মঞ্চ থেকে সরে আসা। কিন্তু মঞ্চকে ভালোবাসি।
আপনার দুই সন্তান এখন অভিনয় করছে, মা হিসেবে কেমন লাগে?
ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে ভাবি- আমার সন্তানরা কখন যে বড় হয়ে গেল। সৌম্য ও দিব্য ওরা আমার দুই চোখের মণি। একজন শ্যাম বেনেগালের বঙ্গবন্ধু সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছে। আরকজন মুশফিকুর রহমান গুলজার পরিচালিত টুঙ্গীপাড়ার দুঃসাহসী খোকা সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলার চরিত্রে অভিনয় করছে। মা হিসেব এটা খুব আনন্দের।
Comments