করোনাকালে একে একে বন্ধ হচ্ছে সিনেমা হল

এবার ঈদুল আযহার কয়েকদিন আগে বন্ধ হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার 'রিয়ামহল' ও 'হীরা' নামের দুটি সিনেমা হল।
চলতি বছরের মে মাসে সিরাজগঞ্জের চালায় বন্ধ হয়েছে 'নিউ রজনীগন্ধা' সিনেমা হল। তার আগে গতবছর রাজশাহী শহরে 'উপহার' নামের সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে। সেখানকার 'অলকা', 'বর্ণালী' এখন স্মৃতির পাতায়। এসব জায়গায় এখন সিনেমা দেখার নেই কোনো আয়োজন।
বর্তমানে সর্বমোট চলমান সিনেমা হলের সংখ্যা ১১০টিতে এসে দাঁড়িয়েছে। সেই সিনেমা হলগুলো করোনা মহামারির কারণে গত ১৬ মাসে অনেকখানি বদলে গেছে। গত চার ঈদ উৎসবে ছিল না তেমন কোনো সিনেমা। সেই কারণে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিনেমা হল।
অনেকেই সিনেমা হলের বিকল্প ভাবছেন ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্মকে। কিন্তু সিনেমা হলের বিকল্প ওটিটি কী করে হয়, সে কথাও বলছেন অনেকে।
প্রদর্শক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন আজ রোববার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্তমানে সিনেমা হলগুলো হল মালিকদের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেগুলো এখন খুব বাজে অবস্থার মধ্যে আছে। সিনেমা হলগুলোতে সিনেমা চালানো যাচ্ছে না, সেখানকার কর্মচারীদের বেতন ঠিকমতো দিতে পারছে না। এভাবে কি চলতে পারে? কবে খুলবে সিনেমা হল, তার ঠিক নেই। হল মালিকরা একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছেন। সরকার এগিয়ে না আসলে কিছুই করার নেই সিনেমা হল মালিকদের। বাকিগুলোও একে একে বন্ধ হয়ে যাবে। সিনেমা হলের বিকল্প ওটিটি বা অন্য মাধ্যম হতে পারে না।'
পরিচালক ইস্পাহানী আরিফ জাহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এভাবে একে একে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এটা দুঃখজনক। যতোই ওটিটি আসুক, আমি মনে করি সিনেমা হল কনসেপ্ট উঠবে না। বড়পর্দায় সিনেমা দেখার আবেদন কী মুঠোফোন অথবা টেলিভিশনে পাওয়া যাবে? বড়পর্দা সবসময়ই একটা বিশাল ব্যাপার সিনেমা দেখার জন্য।'
প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'করোনা মহামারিকালে সিনেমা হল খোলার পর বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সেখান থেকে খুব বেশি আশার আলো দেখতে পারেনি সিনেমাগুলো। সিনেমা হল নির্মাণ ও উন্নয়নের জন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছে। এ টাকা দিয়ে সিনেমা হল নির্মাণ ও পুরাতন হল মেরামত করে নতুনভাবে ভালো কিছুই হবে আশা করছি। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকেও প্রযোজকরা আয় করতে পারেন। যদি ভালো ব্যবস্থা থাকে এই প্ল্যাটফর্মগুলোর।'
Comments