সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী ৮ সিনেমা ওটিটি প্লাটফর্মে

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সিনেমার অন্যতম দিকপাল ও পথিকৃৎ সত্যজিৎ রায় ১৯২১ সালের ২ মে কলকাতায় বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় ও সুপ্রভা দেবীর ঘরে জন্ম নেন। অস্কারজয়ী এই নির্মাতা একাধারে চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক ও লেখক। তার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে মে মাস জুড়ে থাকছে ৮টি সিনেমা 'সত্যজিৎ স্পেশাল'।

আজ সোমবার ২ মে  মুক্তি পাবে 'হীরক রাজার দেশে', ৯ মে থাকছে 'অশনি সংকেত' ও 'সোনার কেল্লা', ১৬ মে 'পথের পাঁচালি' ও 'অপরাজিত', ২৩ মে 'অভিজান' ও  'চিড়িয়াখানা' এবং ৩০ মে 'জলসাঘর'।

কালজয়ী এই নির্মাতার স্মরণে তার নির্মিত সিনেমাগুলোর কাহিনী-

অভিযান

ছবি: সংগৃহীত

রাজপুত হওয়া সত্ত্বেও নরসিংহ নিজেকে একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করেন। ব্যবসায়ী সুখারাম একদিন তাকে বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আফিম পাচারের প্রস্তাব করেন। নরসিংহ কি সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাবেন?

অপরাজিত

বাবা হরিহর মারা যাওয়ার পর অপু ও তার মা সর্বজয়ার নতুন জীবন শুরু হয় বেনারসে। একসময় বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনার জন্য কিশোর অপু বেনারসের মামার বাড়ি থেকে কলকাতায় পাড়ি জমায়। একা হয়ে পড়ে সর্বজয়া। ছেলের জন্য অপেক্ষায় দিন কাটে তার। ছেলের জন্য পথ ধরে বসে থাকে সে। অপু কি ফিরে আসে তার মায়ের ডাকে?

চিড়িয়াখানা

ছবি: সংগৃহীত

ব্যোমকেশ বক্সীর হাতে আসে এক নতুন কেস। সুনয়না নামের এক অভিনেত্রীর নিখোঁজ যাওয়ার ঘটনা তদন্তের জন্য নিশানাথ বাবু অনুরোধ করেন ব্যোমকেশকে। কিন্তু নিশানাথ বাবু নিজে খুন হওয়ার পর ঘটনা আরও জটিল হয়ে ওঠে। এখন কি করে ব্যোমকেশ বক্সী এই কেস সমাধান করবেন সেটাই দেখতে হবে।

হীরক রাজার দেশে

ছবি: সংগৃহীত

গোপী-বাঘার গানে মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতারা।হীরক রাজার দরবারে হাজির হয় তারা।অতিষ্ঠ জনগণ রাজার অত্যাচারে। গোপী-বাঘা নাকি হীরক রাজ—কে জিতে কে হারে?

জলসাঘর

ছবি: সংগৃহীত

জমিদার বিশ্বম্ভর রায়ের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা তার জলসাঘর। সেখানে কদিন পরপর বাইজি ডেকে গানে আর সুরায় মশগুল হয়ে থাকতেন তিনি। হঠাৎ একদিন এক দুর্ঘটনায় বিশ্বম্ভর বাবুর স্ত্রী ও ছেলে খোকা মারা যায়। এরপর থেকে জমিদার বিশ্বম্ভর গানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। হারিয়ে ফেলেন তার সহায়–সম্পত্তিও। বিশ্বম্ভর বাবু কি আবার তার জলসাঘরে আলো ফেরাতে পারবেন? ফিরে পাবেন হারানো প্রভাব–প্রতিপত্তি?

পথের পাঁচালী

অপু এবং দুর্গার বাবা নিশ্চিন্তপুরের পুরোহিত হরিহর রায় পরিবার রেখে শহরে যান উন্নত জীবনের আশায়। আর গ্রামে অপু-দুর্গার দুরন্ত শৈশব কাটে অভাব–অনটনে। একপর্যায়ে দুর্গা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে, কিন্তু তার মায়ের ওষুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। দুর্গা-অপুর দুরন্ত শৈশব ও সামাজিক পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে নির্মিত পথের পাঁচালি।

সোনার কেল্লা

স্কুলপড়ুয়া মুকুল ধর দাবি করে, তার পূর্বজন্মের সব কথা মনে আছে। সোনার কেল্লায় রত্নের কথা উল্লেখ করার পর মুকুলকে অপহরণ করেন ড. হাজরা। ফেলুদা এই কেস নিজ হাতে নেন। ফেলুদা কি পারবেন মুকুলকে ড. হাজরা থেকে উদ্ধার করতে?

Comments

The Daily Star  | English

JnU students, teachers call off protest after assurances

All the activities of the university will resume from tomorrow

2h ago