আবারো ইনজুরিতে মুশফিকুর রহিম?
আবারো কি ইনজুরিতে পড়লেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম? গত শুক্রবার ১৫৯ রানের এক অনবদ্য স্কোর করে পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৩৫৯ রানের এক মাইল ফলক সৃষ্টি করেছেন তিনি।
শনিবার ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে মাঠে দেখা যায়নি সফরকারী দলনেতাকে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙ্গুলে এবং ডান হাতের তর্জনীতে ব্যথার কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
সকালে এক্স-রে করিয়েছিলেন। কিন্তু দিন শেষে নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে খেলার বাকি দিনগুলোতে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন কিনা। এর চেয়ে বড় প্রশ্ন, উইকেট রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তো?
এদিকে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে কিপিং করা ওপেনার ইমরুল কায়েসকে ডাকা হয়েছিল উইকেটের পেছনে দাঁড়াতে। ভাগ্য সুপ্রসন্নই বলা যায় করণ তার হাত ফসকে বেরিয়ে যেতে পারেনি কোন বল।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানান, তাঁরা এখনো মুশফিকের এক্স-রে রিপোর্ট হাতে পাননি। তবে অধিনায়ক এখনো ব্যথায় ভুগছেন।
যাহোক, এখন অনেক জোর দিয়েই বলা যেতে পারে যে প্রথম টেস্টের বাকি দিনগুলোতেও দলপতিকে মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। জানা গেছে, মুশফিকের আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে এবং বুড়ো আঙ্গুলটা ফুলে গেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে এক মুহূর্তের জন্যও উইকেট রক্ষকের দায়িত্ব পালন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তবে দলের চরম মুহূর্তে তাঁকে ব্যাট করতে নামানো যেতে পারে।
এখন তাঁর জন্য যেটা ভালো হতে পারে তা হলো আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত তাঁকে বিশ্রামে রাখা। কেননা, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেটা আরও দুঃখজনক হবে। যদি তিনি দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটিও খেলতে না পারেন তাহলে তা বাংলাদেশ দলের জন্য একটা বড় বিপত্তি ডেকে আনতে পারে।
কিছুদিন আগে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগেছিলেন দলের ব্যাটিং লাইন-আপের অন্যতম প্রধান মুশফিক। তাঁর সে ব্যথা ২৬ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে কিউইদের বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই শুরু পর্যন্ত ছিলো। পরবর্তী পাঁচটি সীমিত ওভারের ম্যাচে মুশফিকের অনুপস্থিতি হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গিয়েছিল। সবকটি ম্যাচেই দলের পরাজয় দেখতে হয়েছিল। গতকাল স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যান রস টেলরও প্রসঙ্গটি তুলেছেন।
টেলরের পর্যবেক্ষণ, “বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলোর ফলাফল যাই হোক বাস্তবে কিন্তু জোর লড়াই হয়েছিল। সফরকারীরা মুশফিকের অভাব বোধ করেছিলেন। কেননা, মিডল-অর্ডারে তাঁর ভূমিকা অনবদ্য। দল তাঁর ওপর অনেক ভরসা করে থাকে। সে সময় যদি মুশফিক মাঠে থাকতেন তাহলে খেলার ফলাফল হয়তো অন্যরকম হয়ে যেত।”
গত শুক্রবার মুশফিকের একটা ঝলক দেখা গিয়েছিল। তবে নিল ওয়াগনারের বল তাঁর গ্লোভসে লাগলে খুবই দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁকে আউট হয়ে যেতে হয়।
Comments