উল্টো পথে বাস চলাচলে রুট বাতিল: ঢাবি প্রক্টর

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাস উল্টো পথে চলাচল করলে ঐ রুট বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এএম আমজাদ আলীর বরাত দিয়ে আমাদের সংবাদদাতা জানান, ক্যাম্পাসের বাস উল্টো পথে চলাচল বন্ধের লক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে অভিযুক্ত বাসের রুট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতল বাসগুলোর মাঝে-মধ্যেই গাড়ি চলাচলের নিয়ম ভেঙ্গে উল্টো পথে চলা সংক্রান্ত ছবি ও প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। সাধারণত, বাসে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে কিছু বাস কখনো উল্টো পথে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগেও, বিভিন্ন বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ দপ্তর বাসচালকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার কঠোর নির্দেশ দেয়। বাসে থাকা শিক্ষার্থীদের অন্যায় আবদার না মানতে বাস চালকদের কঠোরভাবে বলা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক আমজাদ বলেন, “কিন্তু, বাসচালকরা আমাদের সেই নির্দেশনা মেনে চলতে ব্যর্থ হচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, যদি পুলিশের যান চলাচল বিভাগ বা শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কোন বাসের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনেন তাহলে সেই অভিযুক্ত বাসের রুট বাতিল করা হবে।
তাঁর মতে, গাড়িটির নম্বর প্লেট, নিয়ম ভঙ্গ সংক্রান্ত ছবি বা ভিডিওচিত্র যাচাই করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের একজন ছাত্র আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন, গাড়ির রুট বাতিল না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেইসব শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিতে পারেন যারা চালককে উল্টো পথে যেতে বাধ্য করেন।
এদিকে, যানজট এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সকাল ৮টার পরিবর্তে সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু করার দাবি জানান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন দ্বিতল বাসসহ প্রায় ৮০টি বাস শিক্ষার্থীদের বহন করার জন্যে ২১টি রুটে চলাচল করে।
এছাড়াও, শিক্ষকদের আসা-যাওয়ার জন্যে ২০টি মিনিবাস ও মাইক্রোবাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের জন্যে ১৫টি গাড়ি ছয়টি রুটে চলাচল করে।
তবে, যানজট এড়াতে ট্রাফিক আইন ভেঙ্গে কিছু বাস উল্টো পথে চলাচল করে বলে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে।
Comments