এবার ড্রোন মারবে পোকা-মাকড়

drone_for_insect
ক্যামেরা সম্বলিত এবং রেডিও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই ড্রোনগুলো দিয়ে ক্ষেতে ওষুধ দেওয়া হবে যাতে মারা পড়বে ফসল খেকো পোকা-মাকড়, ছবি: কাজী মাহমুদ হাসানের সৌজন্যে

পাক-আফগান সীমান্তে মানুষ মারার কুখ্যাতি নিয়ে গেল দশকে ড্রোনের যাত্রা এই অঞ্চলে শুরু হলেও মানব কল্যাণে যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু হয়েছে সম্প্রতি।

যেমন ধরুণ, কোন এক প্রত্যন্ত গ্রামে একজন কৃষক ড্রোন দিয়ে ক্ষেতে ওষুধ দিচ্ছেন। বাস্তবতা থেকে বিষয়টি খুব বেশি দূরে নয়। কেননা, পৃথিবীর অনেক দেশেই এমনটি হচ্ছে।

আমাদের দেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র এই কৌশলটি কাজে লাগিয়ে অনেককেই অবাক করে দিয়েছেন। এখন শুধু অপেক্ষা দেশে বাণিজ্যিকভাবে ড্রোনের উৎপাদন ও ব্যবহারের।

ক্যামেরা সম্বলিত এবং রেডিও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই ড্রোনগুলো দিয়ে ক্ষেতে ওষুধ দেওয়া হবে যাতে মারা পড়বে ফসল খেকো পোকা-মাকড়। এর ফলে রক্ষা পাবে চাষীর স্বাস্থ্য ও সময় উভয়ই।

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, এক বিঘার একটি ফসলের ক্ষেতে একজন চাষীর ওষুধ দিতে সময় লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কিন্তু ড্রোনটি ব্যবহারের ফলে তাঁর সময় লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা।

এই ড্রোনটি তৈরি করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র কাজী মাহমুদ হাসান।

তিনি জানান, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীম আহসানের তত্ত্বাবধানে কৃষকবান্ধব এই যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে যার ওজন মাত্র পাঁচ কেজি। চার লাখ টাকার এই প্রকল্পে অর্থ যোগান দিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পরে, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় থেকে ড্রোনটি ওড়ানোর অনুমতি নেওয়া হয়।

ড্রোনটি ৩০০ মিটার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৩৮ কিলোমিটার উড়তে পারে এবং ছিটাতে পারে তিন লিটার ওষুধ। একবার চার্জ দেওয়ার পর ২৫ মিনিট আকাশে ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই যন্ত্রটির।

মাহমুদ হাসান বলেন, “বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা গেলে আমাদের কৃষিক্ষেত্রে অনেক উপকার বয়ে আনবে ড্রোনটি।”

অধ্যাপক শামীম আহসান বলেন, “অনুমতি পাওয়ার পর আমরা এই যন্ত্রটি প্রথমে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে দিব। কৃষকরা স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের নিদের্শনা মতো তা ব্যবহার করবেন।”

Comments