কলকাতার ‘রমজান বাজার’-এর হরেক রকম ইফতার
সিয়াম সাধনার মাস হলেও ইফতারের সময় রসনা নিবারণে কলকাতার বাঙালি মুসলিমরাও কিন্তু কম যান না। শহরের চিৎপুর এলাকার ঐতিহ্যবাহী নাখোদা মসজিদ চত্বরে পহেলা রমজান থেকে শুরু হয় “রমজান বাজার”, চলে শেষ দিন পর্যন্ত।
রোজার দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের খাবারের নানা পদের পসরা নিয়ে প্রায় দুই শতাধিক মৌসুমি ব্যবসায়ী বসেন ওই বাজারে। সেখানে পাওয়া যায় হরেক রকমের পেঁয়াজু, বেগুনি, শাহি বাখরখানি, বিশেষভাবে তৈরি নান-রুটি, হালিম কিংবা মধু মাসের উপহার সুস্বাদু আম-কাঁঠাল-জামসহ নানা ফল; আর তা দিয়ে তৈরি জুস।
এছাড়াও মেলে মুরগি ও খাসির হরেক রকম খাবার। চিকেন ফ্রাই থেকে মাটন কষা। আরও পাওয়া যায় বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন জিলিপি, মিষ্টি শিঙাড়া এবং ছানা মাখার মতো জিভে পানি আসা ইফতারের আইটেম।
বজবজ থেকে ব্যারাকপুর কিংবা বারাসাত থেকে বড়বাজার নাখোদা মসজিদের রমজান বাজার থেকে ইফতার-সেহরির খাবার নিতে আসেন হাজার রোজাদার মানুষ।
পঞ্চাশ বছর ধরে খেলাফত কমিটির উদ্যোগে “রমজান বাজার” বসছে। একটি দোকানে গড়ে সাত থেকে আটশো মানুষ ইফতার নিতে আসছেন। তাঁর নিজের দোকানও সেখানে প্রায় চার দশকের পুরনো - দ্য ডেইলি স্টারকে বললেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী হাসনাত আলম।
শহীদুল ইসলাম নামের এক রোজদার ইফতার কিনতে এসেছিলেন গত বৃহস্পতিবার বিকালে। তিনি জানান, ইফতারের সব কিছুই এই বাজারে পাওয়া যায়। দাম যেমন কম তেমনি খাবারের মানও বেশি। “রমজান বাজার”-এ প্রায় প্রতিদিন তিনি জুস থেকে ফল কিংবা ছোলা থেকে পেঁয়াজু কিনতে আসেন বলেও জানান।
এছাড়াও, এক ধরণের রঙ মেশানো বাহারি শরবত বিক্রি হয় এ বাজারে। রঙ দেখে যে কারও চোখ আটকে যাবে সেটা একশো ভাগ গ্যারান্টি দিচ্ছেন স্থানীয়রা।
রঙের এই শরবত কতটা “স্বাস্থ্য বিধি সম্মত” সেটা শরবত ব্যবসায়ী নিজেও জানেন না। তবে ওই বাজার থেকে প্রতিদিনই বোতলে করে অনেক রোজাদার মানুষই পরিবারের জন্য হরেক রকম রঙ-গন্ধে তৈরি করা “ইফতারি শরবত” কিনে নিয়ে যান বলে দাবি করেন শরবত ব্যবসায়ী আব্দুল কালাম।
Comments