‘ন্যায়বিচারের ভাস্কর্য’: প্রধান বিচারপতির সামনে দুই বিকল্প

গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে গড়া সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্যের পরিণতি নিয়ে প্রধান বিচারপতির সাথে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাস্কর্যটি যেন জাতীয় ঈদগাহ ময়দান থেকে না দেখা যায় সে জন্য অন্য কোথাও স্থাপন করতে অথবা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপসারণের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে গড়া সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্যের পরিণতি নিয়ে প্রধান বিচারপতির সাথে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাস্কর্যটি যেন জাতীয় ঈদগাহ ময়দান থেকে না দেখা যায় সে জন্য অন্য কোথাও স্থাপন করতে অথবা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপসারণের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে কথা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি জানিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, শনিবার নবনির্মিত জাজেস কমপ্লেক্স উদ্বোধনের সময় প্রধান বিচারপতির সামনে এই দুটি বিকল্পের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

গত ১১ এপ্রিল কওমি মাদরাসার উলেমাদের সাথে বৈঠকের সময় ন্যায়বিচারের প্রতীক থেমিসের আদলে গড়া ভাস্কর্যটি নিয়ে নিজের আপত্তির কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভাস্কর্য সরানোর ব্যাপারে শিগগিরই প্রধান বিচারপতির সাথে আলোচনা করবেন বলেও তিনি ওই বৈঠকে জানান।

তিনি বলেন, “আমাদের এখানে গ্রিক মূর্তি আসবে কেন? আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাকা উচিৎ না। এটা কেন করা হল? কারা করল? কীভাবে, জানি না। গ্রিকদের পোশাক ছিল এক রকম। এখানে আবার দেখি শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। এটাও হাস্যকর হয়েছে।”

“অনৈসলামক” আখ্যা দিয়ে কিছু মৌলবাদী ইসলামি সংগঠন ভাস্কর্যটিকে সরানোর দাবি জানিয়ে আসছিল।

রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর জন্য একজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালে ভাস্কর্যের প্রসঙ্গটি আসে বলে বৈঠকে উপস্থিত অপর এক মন্ত্রী জানিয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরাতে আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। দাবি পূরণ না হলে ভাস্কর্যের সাথে প্রধান বিচারপতিকেও সরানোর জন্য আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে তাঁরা।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক সংগঠন বাংলাদেশ ওলামা লীগও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চিঠি দিয়ে একই দাবি জানিয়েছে।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Personal data up for sale online!

A section of government officials are selling citizens’ NID card and phone call details through hundreds of Facebook, Telegram, and WhatsApp groups, the National Telecommunication Monitoring Center has found.

3h ago