জাকারবার্গের চোখ কি হোয়াইট হাউজের দিকে?
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের সাম্প্রতিক কাজকর্ম দেখলে তাঁকে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের চেয়ে একজন রাষ্ট্রনায়ক বা রাজনীতিবিদ বলেই বেশি মনে হয়।
জাকারবার্গের রাজনীতিতে আসা নিয়ে সম্প্রতি কানাঘুষা শুরু হয়েছে। বিজনেস ইনসাইডারে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, জাকারবার্গ এ বছর সারা যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে প্রতিটি রাজ্যের সাধারণ লোকদের সঙ্গে কথা বলার লক্ষ্য হাতে নিয়েছেন।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ধর্ম নিয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে আসার বিষয়টি। সম্প্রতি জাকারবার্গ জানান, তিনি এখন আর নাস্তিক নন। ধর্মকে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ মনে করেন তিনি। অনেকেরই ধারনা, সাধারণ মানুষের সমর্থন পেতে তিনি ধর্মের প্রসঙ্গ টেনেছেন।
২০১৬ সালের শুরুতে জাকারবার্গ ফেসবুক বোর্ডকে এমন একটি প্রস্তাব পাস করার অনুরোধ করেছিলেন যেন অফিসে না থেকেও প্রতিষ্ঠানের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে। এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ফেসবুকের একজন অংশীদার তখন মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন। মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, প্রস্তাবটি পাসের জন্য তিনি খুব শক্ত অবস্থানে ছিলেন। যদিও একজন বোর্ড সদস্য বিষয়টিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
রাজনীতিতে জাকারবার্গের আগ্রহের বিষয়টি প্রথম জানা যায় ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে একটি ইমেইল ফাঁস হয়ওয়ার পর। ফেসবুকের চিফ অপারেশন অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গের ইমেইলটি পাঠানো হয়েছিল হিলারি ক্লিনটনের প্রচার কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান জন পোদেসতার কাছে।
উইকিলিকসে প্রকাশিত সেই ইমেইলে দেখা যায়, স্যান্ডবার্গ পোদেসতাকে জাকারবার্গের সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলেন। তিনি বলেন, জাকারবার্গ তাঁর জনকল্যাণমূলক কাজের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে দেখা করছেন।
স্যান্ডবার্গ পোদেসতাকে লিখেন, “আপনি জেনে থাকবেন যে তিনি এখনও তরুণ এবং কোনকিছু জানার বিষয়ে তাঁর অনেক আগ্রহ। তিনি সবসময়ই শেখার জন্য প্রস্তুত থাকেন।”
ইমেইলটিতে আরও বলা হয় যে জাকারবার্গ জনগণের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন, যেন তিনি জন-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আরও সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করতে পারেন।
“তিনি জনগণের কাছ থেকে রাজনীতি সম্পর্কে আরও বেশি শিখতে চান যাতে জন-সংশ্লিষ্ট বিষয় অর্থাৎ অভিবাসন, শিক্ষা এবং মৌলিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা এগিয়ে নেওয়া যায়।”
সে বছরেই জাকারবার্গ তাঁর সব সম্পদ কল্যাণমূলক কাজে দান করার ঘোষণা দেন।
Comments