তৃতীয় উইকেটের প্রতিরোধ আর লায়নের তিন আঘাত

২১ রানে দুই উইকেট হারানো দলকে দিশা দিয়েছিলো সৌম্য সরকার আর মুমিনুল হকের জুটি। লাঞ্চের ঠিক আগে সৌম্যের আউটে ফের বাজিমাত অতিথিদের। তিন উইকেটে ৭০ রান তুলে লাঞ্চে গেল বাংলাদেশ। সবগুলো উইকেটই তুলেছেন অফ স্পিনার ন্যাথান লায়ন। সবগুলোই এলবিডব্লিও।
লাঞ্চের ঠিক আগের ওভারে লায়নের বলটা ভেতরে ঢুকছিল। সৌম্য লাইন মিস করলেন। জায়গায় যেতে হয়ে গেল দেরিও। রঙ ওয়ান ডেলিভারি তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত করল প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া না দেওয়ার কারণ নেই আম্পায়ারের। ৩৩ রানে আউট সৌম্য। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৯ রান তুলে বিচ্ছিন্ন সৌম্য সরকার আর মুমিনুল হক। এই টেস্ট দিয়ে একাদশে ফেরা মুমিনুল ক্রিজে আছেন ২৪ রান নিয়ে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও টস জিতেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এমন পিচে চোখ বন্ধ করে ব্যাটিং নিবেন যেকোনো অধিনায়ক। মুশফিকও ব্যতিক্রম কিছু করেননি। পিচে খুব বেশি রান হবে না জানাই ছিলো। দরকার ছিলো শুরুর দিকে বাড়তি দৃঢ়তার। নড়বড়ে শুরুর পরও প্রথম নয় ওভারে উইকেটে কাটিয়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। দশম ওভারে রাউন্ড দ্যা উইকেটে এসে তামিমকে তুলে নেন লায়ন। এর আগে প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন আগের ম্যাচে দুই ফিফটি পাওয়া তামিম।
আগের টেস্টে রান না পাওয়ায় চাপে থাকা ইমরুল কায়েস চাপ থেকে বেরুতেই বোধহয় খেলতে গিয়েছিলেন সুইপ। ১৪তম ওভারে লায়নের বলটা ঠিক গিয়ে ছোবল মারল যেন তার প্যাডে। মাঠের আম্পায়ার নাইজেল লঙ প্রথমে রায় দিয়েছিলেন ইমরুলের পক্ষেই। অস্ট্রেলিয়ানরা বুদ্ধি করে নিয়ে নেন রিভিউ। তাতে বিফলেই ফিরতে হয় ৪ রান করা ইমরুলকে।
এর আগে ঢাকায় টেস্ট মাতিয়ে ঘরের মাঠে আসা তামিম ইকবালের ব্যাটিং দেখতেই জড়ো হয়েছিলেন চট্টগ্রামবাসী। তাদের হতাশ করেছেন তিনি। দশম ওভারে দলীয় ১৩ রানের মাথায় লায়নের টিপিক্যাল অফ স্পিন পড়তে পারেননি তিনি। ৯ রান করে ফেরেন টাইগার ওপেনার।
Comments