প্রথম সেশনেই নেই চার উইকেট
মনে হচ্ছিল মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মধ্যে বোধহয় একটা জুটি হতে চলেছে। লাঞ্চের ঠিক আগে সব ভাবনায় জল ঢেলে দিলেন ওয়েইন পারনেল। ২৬ রান করে ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিম। ৯২ রানেই চার উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
ইনিংস পরাজয় এড়াতেই দরকার ৪২৬ রান। এমন অবস্থায় নেমে আগের দিন দুই ওপেনার ৭ রান তুলে কোনমতে পার করেছিলেন। তৃতীয় দিন সকালেই দ্রুত দুই উইকেট পড়ল। খানিকপর আরেকটি। ৬৩ রানে তিন উইকেট হারানো দলকে দিশা দেওয়ার চেষ্টায় ছিল দুই সিনিয়র মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ২৯ রানের বেশি উঠেনি তাদের জুটিতে।
দিনের শুরু হয় সৌম্য সরকারের দায়িত্বহীনতায়। নিজেকে হারিয়ে ফেরা এই ওপেনার ব্যর্থতার ষোলকলা পূরণ করে আউট হয়েছেন তিন রান করে। কাগিসো রাবাদার অনেক বাইরের বল ব্যাট না লাগালেই চলত। আত্মবিশ্বাসের অভাবে ব্যাট ছুঁইয়ে দিলেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেই ফিফটি করেছিলেন মুমিনুল হক। তাতেই বুঝি দায় শেষ! রাবাদার বলেই কাটা পড়েছেন ১১ রান করে। ইমরুল কায়েস খেলছিলেন ভালই। ছন্দে ফিরতে তৈরি ছিল মঞ্চ। হেলায় হারিয়েছেন সুযোগ। ৩২ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। পারনেলের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েছেন মুশফিক।
ইনিংস হার এড়াতে এখনো বাংলাদেশের দরকার ৩৩৪ রান। হাতে আছে মাত্র ছয় উইকেট। তিন দিনেই খেল খতমের শঙ্কায় তাই টাইগার স্কোয়াড।
Comments