‘প্রিয় মাঠে’ কি একাদশে ফিরছেন মুমিনুল?

সিরিজ শুরুর আগে দল থেকে বাদ পড়ায় তাকে নিয়ে কতো হইহই, একদিন পর ফিরেও তাই। সমর্থকরা মাথায় তুলে নাচলেও মিরপুর টেস্টে হাথুরুসিংহে একাদশে রাখেননি মুমিনুল হককে। টাইগার ওস্তাদ ‘জাতির আবেগ’ চাপা দিয়েছিলেন টিম কম্বিনেশনের যুক্তিতে। তবে চট্টগ্রাম টেস্টে একাদশে ফিরতে পারেন মুমিনুল। তাকে ফেরাতে পারে টার্নিং পিচে পেসারদের অকার্যকারিতা আর ওই টিম কম্বিনেশনই।

মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বল করার সুযোগই পাননি পেসার শফিউল ইসলাম। মোস্তাফিজ করেছেন মোটে এক ওভার। প্রথম ইনিংসে দুই পেসার মিলেই করেছিলেন ১৪ ওভার। ঘূর্ণি পিচে ফিল্ডিং করাই যেন ছিলো তাদের একমাত্র কাজ। তা দেখে অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেম্যান তো বলেই ফেললেন,এমন পিচে পেসারদের খেলিয়ে লাভটা কি? এখন পর্যন্ত যা খবর চট্টগ্রামের পিচও হতে যাচ্ছে মিরপুরের কার্বন কপি। এমনকি হতে পারে আরও টার্নিং। তেমনটা হলে বাংলাদেশ একাদশে পেসার একজন কমে যাবে। বাড়তে পারে ব্যাটসম্যানের সংখ্যা। ব্যাক আপ উইকেট কিপার লিটন দাস ছাড়া ব্যাটসম্যান তো বাইরে আছেন কেবল মুমিনুলই। অনুমিত ভাবেই ডাক আসবে তাঁর।

বৃষ্টি থাকায় রোববার আউটডোরে অনুশীলন করতে পারেনি দুদল। শনিবার বিকেলে অনুশীলনে সৌম্য সরকারকে বল করতে দেখা গেছে। এতেও মিলছে এক পেসার খেলানোর ইঙ্গিত। মোস্তাফিজুর রহমান তো থাকছেনই। সাতক্ষীরার দুজনকে দিয়েই পেসের কাজ ভাগাভাগি করে চালিয়ে নেওয়ার হাবভাব মুশফিকদের অনুশীলন জুড়ে।

একাদশ নিয়ে ম্যাচের দিন সকাল পর্যন্ত লুকোছাপা করার রীতি বাংলাদেশের। এবারও থাকল তা। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক খোলসা করে বলেননি কিছুই। তবে উইকেটের আভাসেই বলছে একাদশের পরিবর্তনের ইঙ্গিত, ‘উইকেট চট্টগ্রামের যে রকম, ঠিক সেরকম এবারও। বৃষ্টির জন্য গত দুই-তিন দিন ধরে তারা সেভাবে কাজটা করতে পারছে না। এর পরও যেভাবে আমরা বলেছি, সেভাবেই উইকেট বানানো হয়েছে। আমরা উইকেট নিয়ে খুশি।’

বাংলাদেশ উইকেট নিয়ে খুশি। তার মানে এখানে থাকছে আরও স্পিন জুজু। অসিদের জন্য ঘূর্ণির ফাঁদ। গেল অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে দুই পেসার খেলিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দুই ইনিংসে দুজন মিলে করেছিলেন মাত্র ২৮ ওভার। ওই ম্যাচ খেলা পেসার শফিউল ইসলাম দুই ইনিংস মিলে করেছিলেন ১১ ওভার। সেবার দুই পেসার খেলিয়ে ফায়দা মেলেনি। লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় উলটো হারতে হয়েছে ম্যাচ। এবার হয়ত ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে চাইবে বাংলাদেশ।

আকাশচুম্বী গড়টা পড়তির দিকে হলেও দেশের মাঠে মুমিনুলের রেকর্ড এখনো চোখজুড়ানো। ১৪ টেস্টে ৫৮.০৯ গড়ে করেছেন ১২২০ রান। চার সেঞ্চুরির সবগুলাই দেশে। এই হিসাবটা কেবল চট্টগ্রামের জন্য করলে তা রীতিমতো দুর্ধর্ষ। চট্টগ্রামে ৫ টেস্টে ৮৮.০০ গড়ে ৫২৮ রান আছে তাঁর। চার সেঞ্চুরির তিনটাই ওখানে। ক্যারিয়ার সেরা ১৮১ রানের ইনিংসও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই করেছিলেন মুমিনুল।

শ্রীলঙ্কা সফরে কলম্বোয় দেশের শততম টেস্টে একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দুই টেস্ট পর ‘প্রিয় মাঠে’ কি ফিরছেন তিনি?

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago