ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ. লীগ-পুলিশের সংঘর্ষে ওসি আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় আজ মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী সায়েদুল হকের পরিদর্শনের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল চলাকালে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
bbaria OC
নবীনগর থানার আহত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন সহকর্মীরা। ছবি: স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় আজ মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী সায়েদুল হকের পরিদর্শনের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল চলাকালে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

এর আগে, স্থানীয় জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরসহ চারটি উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

মন্ত্রীর গাড়ি চান্দুরা ছেড়ে যাওয়ার পরক্ষণেই আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত পুলিশদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। এসময় নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ আহত হোন।

বিজয়নগর থানার ওসি আলী আরশাদের বরাত দিয়ে আমাদের সংবাদদাতা জানান, ওসি ইমতিয়াজের মাথায় আঘাত লেগেছে এবং তাঁকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আশুগঞ্জ, বিজয়নগর এবং সরাইল উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

উপজেলা পশুসম্পদ হাসপাতালের একটি নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মন্ত্রীর পরিদর্শন চলাকালে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্যে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই ধারা জারি থাকবে বলে তিনি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ওবায়দুল মোকতাদিরকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রেক্ষিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে হরতালের ডাক দেয়।

মন্ত্রীর আগমনের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও যুব লীগের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্নস্থানে মিছিল বের করে। কোন কোন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়।

মিছিলে বাধা দিলে বিজয়নগরের চান্দুরায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Half of Noakhali still reeling from flood

Sixty-year-old Kofil Uddin watched helplessly as floodwater crept into his home at Bhabani Jibanpur village in Noakhali’s Begumganj upazila on August 10. More than a month has passed, but the house is still under knee-deep water.

48m ago