‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ এখন সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত
আজ পহেলা বৈশাখ থেকে ভারতের জনপ্রিয় ‘রাজধানী’, ‘দুরন্ত এক্সপ্রেস’-এর মতো সম্পূর্ণ শীতাতপ সুবিধা যুক্ত হল কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা রুটের যাত্রীবাহী ট্রেন ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’-এর সঙ্গে।
কলকাতা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী রেল পরিষেবা ভারত-বাংলাদেশ তাদের নিজস্ব দুটি রেল চালিয়ে আসছে।
ভারতীয় রেল দশ বগির যে গাড়িটি আগে চালাতো, মাত্র তিনটি এসি বগির সুবিধা ছিল সেখানে। এখন দশটি বগিই এসি।
আজ বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখের উপহার হিসেবে নতুন আরামদায়ক মৈত্রী এক্সপ্রেসের সূচনা করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটায় দিলি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রেলমন্ত্রী যখন ‘মৈত্রী’র এসি বগির সূচনা করেন, কলকাতার চিৎপুর স্টেশনে তখন ফ্ল্যাগ অফ করেন পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতীয় রেলের জেনারেল ম্যানেজার এস এন আগরওয়ালসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
পূর্ব-রেলের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্র বলেন, আগে নির্দিষ্ট এসি বগিতেই যাত্রীরা শুধুমাত্র এসির আসন পেতেন। কিন্তু এখন পুরো রেলটাই এসি। যেমন ভারতের ‘রাজধানী’ কিংবা ‘দুরন্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুটিও শতভাগ এসি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তেমনই।
মৈত্রী এক্সেপ্রেসের ভারতের ট্রেনে আগের চেয়ে খাবারের মানও উন্নত করা হয়েছে।
নতুন এসি মৈত্রীর বগি বিন্যাস করা হয়েছে ঠিক এইভাবে; এসি-১ কেবিন ৪ টি, এসি-চেয়ার-কার ৪ টি এবং পাওয়ার-কার ২ টি। এসি-১ চারটিতে মোট ১৪৪জন যাত্রী ভ্রমনের সুযোগ পাবেন। চারটি এসি চেয়ার কারে বসতে পারবেন ৩১২জন। মৈত্রী এক্সপ্রেসের ভারতীয় ট্রেনের মোট যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৪৫৬জন।
সপ্তাহে সোম, মঙ্গল, শুক্র ও শনিবার ভারতীয় সময় সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে কলকাতা স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’।
২০০৮ সালে এই দিনে কলকাতা-ঢাকা রুটের ভারত-বাংলাদেশের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ নয় বছরে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দুই দেশের যাত্রীদের কাছে।
গত ৮ এপ্রিল দিলিতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা যৌথভাবে কলকাতা-খুলনা রুটের যাত্রীবাহী ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’-এর উদ্বোধন করেন।
রেল সূত্র বলছে, সব কিছু ঠিক থাকলে মে-জুন-জুলাই এই তিন মাসের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস চলবে দুই দেশের মধ্যে।
Comments