মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণ করে দিবে বিটিআরসি
এক মাসের মধ্যে মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণে একটি নীতিমালা তৈরি করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে পৃথক কস্ট মডেলিং অ্যানালাইসিস করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসেরের সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠক থেকে এই সিদ্ধান্ত এসেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ও বিভিন্ন সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। ডিজিটালাইজেশনে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী এই পর্ষদের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর টাস্কফোর্সের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ করে এর নির্বাহী কমিটি।
যে কোন সেবা দিতে প্রতিষ্ঠানের মোট খরচ বের করার পদ্ধতিকে বলা হয় কস্ট মডেলিং। এর আগে ২০০৮ সালে ভয়েস কলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল এই পদ্ধতিতেই। তখন প্রতি মিনিট লোকাল কলের সর্বোচ্চ দাম ২ টাকা ও সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা বেঁধে দিয়েছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
এর বছর খানেক পর লোকাল এসএমএস এর জন্য সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা ও আন্তর্জাতিক এসএমএস এর জন্য ২ টাকা চার্জ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তবে বিটিআরসির অনুমতি সাপেক্ষে ভ্যালু এডেড সার্ভিসের এসএমএস ও ভয়েস কলের আলাদা দাম নির্ধারণের সুযোগ রাখা হয় তখন। এখন ডেটা প্যাকেজের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দামও এই পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানিয়েছেন গত কয়েক মাস ধরেই তাঁরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে উপস্থিত থাকা এই কর্মকর্তা আশা করছেন খুব শিগগির কস্ট মডেলিংয়ের কাজটি শেষ হবে।
আগের কস্ট মডেলিংয়ের কাজটি আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইইউটি) বিনা খরচে বাংলাদেশের জন্য করে দিয়েছিল। বাংলাদেশ তখন নিম্ন আয়ের দেশ থাকায় কোন খরচ দিতে হয়নি। কিন্তু নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় চলে আসায় এবারের কস্ট মডেলিংয়ের জন্য বাংলাদেশকে অর্থ খরচ করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কস্ট মডেলিং অ্যানালাইসিস এর জন্য খুব শিগগিরই আইইউটি’র একজন জ্যেষ্ঠ পরামর্শক বিটিআরসির সাথে কাজ শুরু করবেন।
বর্তমানে অপারেটররা নিজেরাই ডেটা সার্ভিসের দাম নির্ধারণ করেন। ডেটা প্যাকেজের যৌক্তিক দাম নির্ধারণের কোন সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড তারা মেনে চলে না। নিজেদের খেয়াল খুশিমত দাম নির্ধারণ করে তারা।
আট বছর আগে প্রতি মেগাবাইট ব্যান্ডউইথের দাম ছিলো ৭২ হাজার টাকা। গত বছর এই দাম মাত্র ৬২৫ টাকায় নামিয়ে আনে সরকার। তবে অভিযোগ রয়েছে যে হারে সরকার ইন্টারনেটের খরচ কমিয়েছে গ্রাহকরা তার সুবিধা পাচ্ছেন না।
Comments