‘সন্ত্রাসীদের সাথে মিয়ানমার আলোচনা করে না’

রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার সরকার।
রাখাইনে ধর্ম ও জাতিগত পরিচয় নির্বিশেষে সকলের জন্য ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমকে সুগম করতে আরসা গতকাল একপাক্ষিক অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে। মিয়ানমারের প্রতিও তারা অস্ত্রবিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছিল।
আরসার অস্ত্রবিরতি ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার তাদের প্রস্তাব নাকচ করেছে। তারা শুধু বলেছে, সন্ত্রাসীদের সাথে কোনরকম আপোষ-আলোচনা চলতে পারে না। গতকাল রবিবার থেকে মাসব্যাপী অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ঘোষণা দেয় আরসা।
তবে আরসার এই একপাক্ষিক অস্ত্রবিরতির কার্যকারিতা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। বিশেষত এই বিদ্রোহী সংগঠনটি রাখাইনে সেনা দমন অভিযানের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি। গত দুই সপ্তাহে সেখানে হাজারো ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ অভিমুখে হাজারো উদ্বাস্তুর স্রোত অব্যাহত রয়েছে।
আরসার অস্ত্রবিরতির ঘোষণা নিয়ে মিয়ানমার সরকার বা সেনাবাহিনী কারও পক্ষ থেকেই কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে অং সাং সু চি’র মুখপাত্র শুধুমাত্র টুইটারে লিখেছেন, “সন্ত্রাসীদের সাথে আলোচনা চালানোর কোনো নীতি গ্রহণ করিনি আমরা।”
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা আরসার বিরুদ্ধে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ পরিচালনা করছে। আরসাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
সূত্র: এএফপি ও রয়টার্স
Comments