সরকারি দলের সাংসদদের তোপের মুখে অর্থমন্ত্রী
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংসদে আলোচনায় সরকারি দলের সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজ সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ব্যাংক একাউন্টে বর্ধিত আবগারী শুল্ক, ১৫ শতাংশ একক ভ্যাট ও ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি নিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন। খবর- প্রথম আলোর।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও ব্যাংক হিসাবে বর্ধিত আবগারি শুল্ক আদায়ে অনড় থাকায় অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে ফজলুল করিম সেলিম বলেন, “আপনার দায়িত্ব বাজেট পেশ করা। এই সংসদের ৩৫০ জন জনগণের প্রতিনিধি ঠিক করবেন জনগণের কল্যাণে কোনটা থাকবে, কোনটা থাকবে না। আপনি একগুঁয়েমি সিস্টেম বন্ধ করেন, কথা কম বলেন।”
বাজেট আলোচনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বাজেট নিয়ে সারা দেশে আলোচনার ঝড় চলছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এটা নির্বাচনী বাজেট নয়। অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন রাখেন, “তাহলে কবে নির্বাচনী বাজেট দেবেন?”
আবগারি শুল্ক বা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে হানিফ বলেন, অর্থমন্ত্রী কী কারণে কার স্বার্থে ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক করেছেন, জানা নেই। তিনি বলেন, হলমার্কের চার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির পর অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, এ টাকা কিছু নয়। তাহলে কেন সামান্য টাকার জন্য সারা দেশে মানুষের মধ্যে আক্ষেপ তৈরি করলেন?
ব্যাংকখাতে লুটপাটের অভিযোগ এনে হানিফ বলেন, বেসিক ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকা মূলধন দেওয়া হচ্ছে। কার টাকা কেন দিচ্ছেন? তাঁরা দুর্নীতির জন্য লুটপাট করবে আর মূলধন দিতে হবে আমাদের? প্রয়োজনে এই ব্যাংকগুলোর বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করা হোক। সরকারি টাকা এভাবে লুটপাট করতে দেওয়া যাবে না।
সঞ্চয়পত্রে সুদের হার না কমানোর দাবি জানিয়ে আরেক সাংসদ আবুল কালাম বলেন, ১০ শতাংশ বাড়ালে খরচ হবে এক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু উপকার পাবে লাখ লাখ মানুষ। এটা সিনিয়র সিটিজেনরা পান। অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “ঋণ খেলাপিদের বিশাল লিস্ট দিছেন। কই তাদের তো ধরতে পারেন না। ব্যাংকের টাকা পাচার বন্ধ করতে পারছেন না। আর নিম্নমধ্যবিত্তের ওপর কর চাপিয়ে দিচ্ছেন।”
Comments