সোমবার থেকে শুরু কলকাতা-খুলনা-ঢাকার বাস চলাচল

Bus
কলকাতার করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল। এখান থেকে রবিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয় দিন চলবে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক বাস। ছবি: স্টার

সোমবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করছে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী বাস। ভারতীয় সময় সকাল সাতটায় কলকাতার সল্টলেক করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস স্ট্যান্ড থেকে সোমবার ৩২জন যাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে প্রথম বাসটি ছেড়ে যাবে।

কলকাতার বাস চলবে সপ্তাহের সোম, বুধ এবং শুক্রবার। একই দিনে ঢাকার বাসগুলোও কমলাপুর থেকে ছাড়বে কলকাতার উদ্দেশ্যে।

ঢাকা থেকে আসা ফিরতি বাস কলকাতা থেকে ছাড়বে মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিবার। শুধুমাত্র রবিবার ছাড়া বাকি প্রতিদিনই চলবে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটের দুই দিকের এই বাস পরিষেবা।

গত ৮ এপ্রিল দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতা-খুলনা রুটের এই বাসের পরীক্ষামূলক যাত্রার সূচনা করেছিলেন। পরীক্ষামূলক যাত্রার ৪৩ দিনের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করছে বহু প্রত্যাশিত কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটের বাসটি।

প্রথমদিকে, কলকাতা-খুলনা-কলকাতা রুটের বাস চলার কথা ছিল। সেই মতো ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৫০ রুপি। কিন্তু পরবর্তীতে ঢাকার অনুরোধে খুলনা থেকে রাস্তা সম্প্রসারণ করে বাসটি ঢাকা পর্যন্ত চলানোর সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। এর ফলে রুটটি থেকে ব্যবসা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় কিছুটা ঢিমেতালে চলার নীতিগ্রহণ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহন নিগম থেকে লিজ নেওয়া এই রুট পরিচালনাকারী সংস্থা শ্যামলী পরিবহন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই দেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ের চাপের মুখে সোমবার থেকে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুট চালু করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পরিচালনাকারী সংস্থার।

খুলনার বাসে ঢাকা যাওয়া যাত্রীদের এখানে দিতে হবে ১ হাজার ৪০০ রুপি। আর কলকাতা থেকে শুধুমাত্র খুলনার ভাড়া আগের ৮০০ রুপি নির্ধারিত আছে।

কলকাতা থেকে ছেড়ে পেট্রাপোল সীমান্ত পার হয়ে যশোর হয়ে খুলনা পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহনের এই বাস। সেখান থেকে মাওয়া ফেরিঘাট পার হয়ে পৌঁছাবে ঢাকার কমলাপুর টার্মিনালে। আনুমানিক সাড়ে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা সময় লাগবে কলকাতা থেকে খুলনা হয়ে ঢাকা পৌঁছাতে।

শ্যামলী পরিবহনের কর্ণধার অবণীকুমার ঘোষ এই প্রতিবেদককে জানান, “কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটের বাসটি সোমবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে চলবে। কিন্তু এই রুটের ব্যবসা নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তিত।”

এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “ঢাকার যাত্রীরা কলকাতা থেকে নিশ্চয়ই খুলনা ঘুরে ঢাকা যাবেন না। খুলনা থেকে বাসটি খালি যাবে।”

প্রথমদিকে, কলকাতা-খুলনার মধ্যে রুটটি চলবে বলে ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা ঢাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঢাকা এবং দিল্লি বিষয়টি চূড়ান্ত করে বলে উল্লেখ করেন অবণীকুমার ঘোষ।

Comments

The Daily Star  | English
consensus commission bicameral parliament proposal

Consensus commission: Talks stall over women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

5h ago