ধর্ষণ: সাক্ষ্য আইনের দুটি ধারা সংশোধনের উদ্যোগ

ধর্ষণ মামলায় ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা বন্ধে সরকার সাক্ষ্য আইনের দুটি ধারা সংশোধন করতে যাচ্ছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২-এর ১৫৫(৪) এবং ১৪৬(৩) ধারায় সংশোধনী আনার জন্য প্রাসঙ্গিক কাজ শেষ করেছি। প্রস্তাবিত সংশোধনীটি পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাখা হবে এবং আমি আশা করি যে সংশোধনী সংক্রান্ত বিল সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে পাস হবে।'
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ১৫৫(৪) ধারা বাতিল করা হবে এবং সাক্ষ্য আইনের ১৪৬(৩) ধারায় একটি বিধান যুক্ত করা হবে যাতে কেউ আদালতে ধর্ষণ ভিকটিমদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে।
মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এভিডেন্স অ্যাক্টের ১৫৫(৪) ধারা সংশোধনের জন্য আগে তৈরি করা একটি খসড়া সম্প্রতি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে।
আগের খসড়া চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
যোগাযোগ করা হলে অধিকারকর্মী এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না সরকারের এই পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সংসদে বিলটি পাস হওয়ার আগে সরকার সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) এবং ১৪৬(৩) ধারা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে একটি সার্কুলার জারি করতে পারে।
সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যখন বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রের অধিকারী।'
১৪৬ (৩) ধারায় বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করার জন্য সাক্ষীর চরিত্রকে আঘাত করতে পারে এমন প্রশ্ন আরোপ করার অনুমতি দেয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সরকার তার ১৬ নভেম্বরের নির্দেশনা মেনে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের মাধ্যমে এই আইনের শুধুমাত্র ১৫৫(৪) ধারার প্রস্তাবিত সংশোধনীর একটি খসড়া হাইকোর্টে জমা দিয়েছে।
দুটি ধারা বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং নারীপক্ষের রিট আবেদনের শুনানির জন্য হাইকোর্ট আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
Comments