নোয়াখালীতে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বেগমগঞ্জের বাংলা বাজার-গোপালপুর সড়কের মহিব উল্যাপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত ছাত্রলীগ নেতা মো. হাসিবুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বেগমগঞ্জের বাংলা বাজার-গোপালপুর সড়কের মহিব উল্যাপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত মো. হাসিবুল বাশার (২৫) উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংগঠনের ভেতরের প্রতিপক্ষ গ্রুপ তাকে হত্যা করেছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক জনকে আটক করেছে। তবে তার পরিচয় জানায়নি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে হাসান ও সোহাগ গ্রুপের মধ্যে বহুবার সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসিবুল সোবহান মার্কেটের সামনে দিয়ে বন্ধুর মোটরসাইকেলে চড়ে গরুর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাসানের লোকজন হাসিবুলকে তুলে নিয়ে গোপালপুর ইউনিয়নের বাংলা বাজার-গোপালপুর সড়কের মহিব উল্যাপুর ব্রিজ এলাকায় নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।

নিহতের চাচা মো. সিরাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাসিবুল ও তার বন্ধুরা হাসানের লোকজনের অপকর্মে বাধা দিত। এর জেরে হাসানের নেতৃত্বে জয় সহ একদল সন্ত্রাসী তাকে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে পালিয়ে যায়। এ বছর হাসিবুলের এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। 

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে হাসিবুলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার গলা কাটা ছিল ও মাথায় জখম ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও মাথায় জখমে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম জাফরউল্যাহ ডেইলি স্টারকে বলেন, সালাহ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। তার পালিত হাসান বাহিনীর প্রধান হাসান ও তার লোকজন হাসিবুলকে হত্যা করেছেন।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ডেইলি স্টারকে বলেন, এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে সালাহ উদ্দিনের লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল হাসান এক জনকে আটকের কথা জানিয়েছেন।

Comments