পরীমনির রিমান্ড দেওয়া ২ বিচারক হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন

মাদকদ্রব্য মামলায় অভিনেত্রী পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বারের মতো রিমান্ড মঞ্জুর করা নিম্ন আদালতের ২ বিচারক হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
কারাগার থেকে আজ সকালে জামিনে মুক্তি পান পরীমনি। ছবি: পলাশ খান

মাদকদ্রব্য মামলায় অভিনেত্রী পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বারের মতো রিমান্ড মঞ্জুর করা নিম্ন আদালতের ২ বিচারক হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

আজ রোববার হাইকোর্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ২ বিচারক হলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।

তাদের আইনজীবী আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পৃথক ব্যাখ্যায় বিচারকরা হাইকোর্টকে বলেন- পরীমনিকে দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বার রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করা একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামকে রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে তাদের আচরণ নিয়ে আরও ব্যাখ্যা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

একইদিনে আদালতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের ভুলের জন্য ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য হাইকোর্ট বেঞ্চকে অনুরোধ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, তারা খুবই তরুণ কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে।

তিনি আরও বলেছিলেন, তারা এজন্য দুঃখিত ছিল এবং তাদের ভুলের জন্য অনুতপ্ত।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বেঞ্চ নিম্ন আদালতের দুই বিচারকের ব্যাখ্যায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।

পরীমনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদকদ্রব্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা আজ হাইকোর্টের বেঞ্চে হাজির ছিলেন।

এর আগে, ২ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বারের জন্য রিমান্ড মঞ্জুরকে 'অনিচ্ছাকৃত ভুল এবং ত্রুটি' উল্লেখ করে হাইকোর্টের কাছে ক্ষমা চান।

তারা ২টি পৃথক লিখিত ব্যাখ্যায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন, যা আগে উচ্চ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল।

ব্যাখ্যায় তারা বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তারা পুলিশকে পরীমনির রিমান্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটরা হাইকোর্ট বেঞ্চের কাছে বলেন, ভবিষ্যতে রিমান্ড আদেশ পাস করার সময় তারা আরও সতর্ক থাকবেন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) পরীমনিকে আইনি সহায়তা প্রদান করছে। আজ আদালতে আসকের পক্ষে আইনজীবী জিআই খান পান্না উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন।

Comments

The Daily Star  | English
Internet users face low speed as 25pc internet supply blocked

Bangladesh saw three internet shutdowns last year: report

Bangladesh saw three internet shutdowns last year, and all of those were executed to crack down on dissent, according to Access Now, an organisation advocating for digital civil rights

1h ago