শরীয়তপুরে চোর-পুলিশ খেলা!

গতকাল সোমবারই মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তারের খবর প্রেস ব্রিফিং করে জানিয়েছিল শরীয়তপুর জেলা পুলিশ। উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া ৬টি মোটরসাইকেল। সেই প্রেস ব্রিফিংয়ের ২৪ ঘণ্টা পেরুনোর আগেই জেলা পুলিশ লাইনে আয়োজিত একটি মেলা থেকে ৩টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। সেই রাতেই জেলা প্রশাসকের বাসভবনের বিপরীত দিক থেকে চুরি হয়েছে ৬টি গরু।
শরীয়তপুর সদর পালং মডেল থানার ওসি আকতার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পুলিশ লাইনে মাসব্যাপী পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) মেলা চলছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেলা থেকে ৩টি মোটরসাইকেল চুরি হয়। পরে রাত ৩টার দিকে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের বিপরীত দিক থেকে চুরি যায় চাপা রানী দাশের গরুগুলো।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশের একটি দল চোর ধরতে কাজ করছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জান ডেইলি স্টারকে বলেন, চুরির ঘটনাগুলো দুঃখজনক। যেভাবেই হোক এই চোর চক্রকে আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ লাইনের মতো সংরক্ষিত এলাকা থেকে কীভাবে মোটরসাইকেলগুলো চুরি হলো জানতে চাইলে বলেন, পুলিশ লাইনের ভেতর কোনো মোটরসাইকেল রাখা ছিল না। ওই এলাকার ভেতর জনসাধারণের মোটরসাইকেল রাখার নিয়ম নেই। এখানে শুধু পুলিশ সদস্যরাই তাদের মোটরসাইকেল রাখতে পারেন।
চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল মালিক রাসেল শিকদার টুটুল ডেইলি স্টারকে বলেন, পুলিশ লাইনের ভেতরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল রেখে পুনাকের মেলায় গিয়ে গিয়েছিলাম। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এসে দেখি আমার মোটরসাইকেল নাই। সিসিটিভি ফুটেজে আমার মোটরসাইকেল চুরি হতে দেখেছি।
চুরি যাওয়া গাভীর মালিক চাপা রাণী শীল ডেইলি স্টারকে বলেন, আমার চুরি হওয়া ৬টি গরুর মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। গরুগুলো প্রায় ১২ থেকে ১৫ লিটার দুধ দিত। এক রাতে আমার গোয়াল খালি হয়ে গেছে৷ আজ ১৩ বছর ধরে গরু লালন-পালন করছি, কখনো এমনটা হয়নি। আমার স্বামী জেলা প্রশাসকের গাড়ির চালক। তার বেতনের টাকা বাঁচিয়ে এসব করেছিলাম। এখন সবকিছু হারিয়ে ফেললাম।
Comments