চাহিদার চেয়ে দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা বেশি আছে

এ বছর দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ২ লাখ বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহন নিশ্চিত করা নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এসব তথ্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট ৯০ লাখ ৯৩ হাজার গবাদিপশু কোরবানি হয়েছিল। এ বারও চাহিদার চেয়ে বেশি পশু আছে বলে জানানো হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, কোরবানিযোগ্য অনেক পশু রয়েছে। সংশয়ের কোনো কারণ নেই। রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করা যাবে না।
সিলেট বিভাগে বন্যায় গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে গবাদিপশু কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে গবাদিপশুর খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে, চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে যাতে অন্যান্য অঞ্চল থেকে গবাদিপশু পাঠানো যায় সে ব্যাপারে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোনো খামারি নিজ বাড়িতে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। হাটে আনার পথে কেউ পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক হাসিল আদায় করতে পারবে না।
রেজাউল করিম বলেন, পশু কেনা-বেচায় নগদ টাকা বহন না করে বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে খামারিরা যাতে আর্থিক লেনদেন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গত বছর অনলাইন প্লাটফর্মে প্রচুর গবাদিপশু বিক্রি হয়েছিল। এ বছরও সেভাবে বিক্রি চলবে। অনলাইনে কেনা গরু পছন্দ না হলে টাকা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা এ বছর সংযোজন করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি সার্জন থাকবেন। গবাদিপশু কোরবানির উপযোগী কিনা বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কিনা তারা সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।
Comments