বাংলাদেশ

খুলনার কয়রায় বাঁধ ভেঙে আবারও প্লাবিত ২ গ্রাম

খুলনার কয়রায় সাকবাড়িয়া নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ২টি গ্রাম। এতে গাতিরঘেরি ও হরিহরপুর গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
Koyra_Displaced_People_3.jpg
স্টার ফাইল ফটো

খুলনার কয়রায় সাকবাড়িয়া নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ২টি গ্রাম। এতে গাতিরঘেরি ও হরিহরপুর গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে হরিহরপুর গ্রামে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।

উত্তর বেদকাশীর চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম সরদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠিকাদারের গাফিলতিতে বাঁধটি ভেঙে গেল। মাত্র ৩-৪ দিন কাজ করলে পানি আটকানো যেত। কিন্তু ঠিকাদার তা করেনি।'

তিনি আরও বলেন, 'এই শীত এবং বৃষ্টিতে অবর্ণনীয় কষ্টে আছেন এখানকার ২ গ্রামের অন্তত ২০০ পরিবার।'

স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে হরিহরপুর গ্রামের ওই স্থান ভেঙে প্লাবিত হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে কর্মরত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জিও টিউবে বালু ভরে পানি মুক্ত করে। কিন্তু মাটির কাজ না করায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবেড়িয়া নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত শনিবার রাতে আবারও বাঁধ ভেঙে হরিহরপুর ও গাতিরঘেরি ২টি প্লাবিত হয়েছে।'

ওই এলাকার বাসিন্দা ধীরেস মাহত বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ৭ মাস শাকবেড়িয়া নদীর পানিতে ডুবে ছিল। সপ্তাহ খানিক আগে জিও টিউবে বালু ভরে পানি মুক্ত করে ঠিকাদারের লোকজন। কিন্তু পরবর্তীতে মাটির কাজ না করায় আবারও জাওয়াদে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ওই স্থান দিয়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে।'

খুলনার কয়রা এলাকা সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে-২ এর আওতাভুক্ত। পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী মশিউল আবেদীন বলেন, 'গত ৩-৪ দিন আবহাওয়া জনিত কারণে সাতবাড়িয়া নদীর পানি ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানির চাপে হরিহরপুর লঞ্চঘাটের পূর্ব পাশে পানি উন্নয়নে বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগ করা আছে, তারা বাঁধটি বাঁধার চেষ্টা করছে।'

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর কয়রা উপজেলার পোল্ডার নং ১৪/১ এর হরিহরপুর লঞ্চঘাটের পূর্ব পাশ থেকে ৪১০ মিটার পর্যন্ত টিউব দিয়ে রিং বাঁধ ও মাটি দিয়ে শ্লোপ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটি পায় জিয়াউল ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

Comments

The Daily Star  | English

Three difficult choices to heal economy

Bangladesh yesterday made three major decisions to cushion the economy against critical risks such as stubborn inflation and depletion of foreign currency reserves.

4h ago