ঝিনাইদহে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩৫

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ১৮-২০টি বাড়ি।
অন্তত ১৮-২০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ১৮-২০টি বাড়ি।

গতকাল শুক্রবার রাতে শৈলকূপা উপজেলার কামান্না ও বারইহুদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কামান্না গ্রামের আব্দুর রশিদ মেম্বর ও নাহিদ মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গত বুধবার রশিদ মেম্বরের ছেলে ফারদিনকে মারধর করে নাহিদ মোল্লার সমর্থক আমির হোসেনের ছেলে হামিদুর রহমান। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে হামিদুরের চাচাতো ভাই নাঈম হোসেনকে মারধর করে ফারদিন ও তার ভাই ফাহিম।

তারা আরও জানায়, মারধরের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নাহিদ মোল্লার সমর্থকরা রশিদ মেম্বরের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনার খবর পার্শ্ববর্তী বারইহুদা গ্রামে পৌঁছালে সেখানেও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে গ্রাম ২টিতে সংঘর্ষ চলে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হন। আহতদের ঝিনাইদহ সদর ও শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাশেদ আল মামুন বলেন, আমার এখানে ১০ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের ২ জনকে কুষ্টিয়াতে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া, অন্যরা কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

আব্দুর রশিদ মেম্বার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার কোনো দোষ নেই। ওরা আমার ছেলের ওপর আগে হামলা চালিয়েছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না। কিন্তু, বাসায় ফিরে জানতে পারি, আমার লোকজন সেখানে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।'

নাহিদ মোল্লা বলেন, 'সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। হঠাৎ করে বুধবার তার ছেলের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল। তার জের ধরে শুক্রবার রাতে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।'

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Road Surface Melting: Bargain bitumen failing to bear extreme heat

As the country is baking in heatwave, road surfaces in several districts have melted due to what experts say is the use of bitumen that cannot withstand this extreme heat.

4h ago