শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি

‘অনুদান লাগবে না, দয়া করে স্বামীর লাশটা খুঁজে দিন’

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মোমেলা বেগমের। ছবি: সাজ্জাদ হোসাইন

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ আছেন মুন্সিগঞ্জ সদরের যুগনিঘাট এলাকার বাসিন্দা মোমেলা বেগমের (৫০) স্বামী হাতেম আলী বেপারি (৬০)।

আজ সোমবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন মোমেলা বেগম। তিনি জানান, তার স্বামী হাতেম আলী এক মাস আগে কুয়েত থেকে দেশে ফেরেন।

মোমেলা বেগম বলেন, 'আমার স্বামীর লাশ কেউ খুঁজে দিল না। উদ্ধার করা লঞ্চের ভিতরেও লাশ ছিল না। আমার অনুদান লাগবে না, দয়া করে স্বামীর লাশটা খুঁজে দিন। আর কিছুই চাই না। অন্তত নিজ হাতে কবর তো দিতে পারব।'

সোমবার দুপুর ১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, নিখোঁজ হাতেম আলীর বাড়িতে স্বজনদের কান্না থামছেই না। প্রিয় মানুষকে খুঁজে না পাওয়ার কষ্ট কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। প্রতিবেশীরা এসে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। ফোনে খোঁজখবর নিচ্ছেন কিছুক্ষণ পর পর।

হাতেম আলীর স্ত্রী মোমেলা বেগম জানান, আমার স্বামী হার্টের রোগী ছিল। রোববার ভোর ৬টায় মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। চিকিৎসক দেখানোর পর মুন্সিগঞ্জের পথে রওনা দেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় ফোন দিলে কিছুক্ষণ পর বাসে উঠবে জানায়। এরপর দুপুর ২টার পরে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জানতে পারি আমার স্বামী যে লঞ্চে ছিলেন সেটি ডুবে গেছে। আমার ছেলে সারারাত শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ছিল। কিন্তু, লাশ পায়নি।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের লঞ্চঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় লঞ্চ আফসার উদ্দিন। পথে দুপুর সোয়া ২টায় কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছালে কার্গোর ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

JnU protests called off

Students and teachers of Jagannath University called off their protest last night after receiving assurances from the government that their demands would be met.

6h ago