‘যে যেখানে বলেছে ছুটে গেছি, কিন্তু শ্যালকের খোঁজ পাইনি’

‘যে যেখানে বলেছে, সেখানেই ছুটে গিয়েছি। কিন্তু, এখনো আমার শ্যালকের কোনো খোঁজ পাইনি। ঘটনার দিন রাতেও তার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। কিন্তু, দুর্ঘটনার পর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।’
মো. শাহাবুদ্দীন। ছবি: স্টার

'যে যেখানে বলেছে, সেখানেই ছুটে গিয়েছি। কিন্তু, এখনো আমার শ্যালকের কোনো খোঁজ পাইনি। ঘটনার দিন রাতেও তার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। কিন্তু, দুর্ঘটনার পর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।'

আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে থেকে দ্য ডেইলি স্টারকে কথাগুলো বলছিলেন মো. শাহাবুদ্দীন (৪৮)। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে কাভার্ডভ্যানের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন তার শ্যালক মো. সাকিব (১৯)।

ঘটনার পর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। গতকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরছেন সাকিবের ভাই ও বোনজামাই।

সাকিবের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে। শাহাবুদ্দীন বলেন, 'আট ভাই-বোনের মধ্যে সাকিব সবার ছোট। সে সবার খুব আদরের। আমরা এখনো তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। ইতোমধ্যে ৮-১০টি হাসপাতালে গিয়েও তার কোনো খোঁজ পেলাম না।'

অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিচয় শনাক্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি বিশেষজ্ঞ দল আজ সকাল ৮টা থেকে মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। অন্য অনেকের মতো সেখানেই নমুনা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন সাকিবের বড় ভাই ও বোনজামাই।

'এখন তো একটাই আশা, যদি অন্তত তার মরদেহটাও আমরা পাই। সে আশাতেই অপেক্ষা করছি', বলেন শাহাবুদ্দীন।

Comments

The Daily Star  | English
Temperature rise in Dhaka last 30 years

An April way hotter than 30-year average

Over the last seven days, temperatures in the capital and other heatwave-affected places have been consistently four to five degrees Celsius higher than the corresponding seven days in the last 30 years, according to Met department data.

11h ago