নতুন ২৭১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের আওতায় আরও ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
pm_6jul22.jpg
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের আওতায় আরও ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর' এবং 'শেখ জামাল ডরমেটরি ও রোজী জামাল ডরমেটরি'র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে একটা ভালো খবর দিতে যাচ্ছি, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারিকরণ করেছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পরে আবার আমরা আরও প্রায় ৩৬ হাজার স্কুল সরকারিকরণ করে দিয়েছি। তা ছাড়া আমরা এমপিওভুক্ত করে দিচ্ছি। প্রায় সারা দেশে বেসরকরি উদ্যোগে যেসব বিদ্যালয়গুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—এগুলোর যে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন সময় আমরা প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীদের সংখ্যা, পরীক্ষার রেজাল্ট, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এসব কিছু আগে বিবেচনা করা হয়। মানসম্মত যেগুলো সেগুলোর জন্য আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নেই। সব সরকারি না করেও সেখানকার শিক্ষক-কর্মচারী যাতে সরকারের কাছ থেকে বেতন পায়, সেই ব্যবস্থাটা নেই। ইতোমধ্যে আমরা ২৬ হাজার ৪৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছি। ২০১৯ সালে মোট ২ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমরা এমপিওভুক্ত করেছিলাম।'

'আমি আজকে ঘোষণা দিচ্ছি, এ ব্যাপারে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এ বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় নতুন ২ হাজার ৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৬৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ১২২টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ১৩৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক ১০৯টি, ডিগ্রি কলেজ ১৮টি। তা ছাড়া আমরা প্রত্যেকটি উপজেলায় একটা করে কলেজ আর একটা করে স্কুল ইতোমধ্যে সরকারিকরণ করে ফেলেছি। একইভাবে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৬৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে এসএসসি ভোকেশনাল বা দাখিল ভোকেশনাল ৯৭টি, এসএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলোজি ২০০টি, ডিপ্লোমা ইন অ্যাগ্রিকালচার ২টি, দাখিল মাদ্রাসা ২৬৪টি, আলিম মাদ্রাসা ৮৫টি, ফাজিল মাদ্রাসা ৬টি, কামিল মাদ্রাসা ১১টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় উভয় বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করবে', বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যদিও এই করোনার কারণে আমরা অর্থনৈতিকভাবে নানা সমস্যার মধ্যে পড়ছি। আমরা না, সারা বিশ্বই আজকে এই মহামারির অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত। তার প্রভাব আমাদের দেশে এসেও পড়ছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে আরও ক্ষতিকর হলো আমেরিকা রাশিয়ার ওপর যে স্যাংশন দিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপ দিয়েছে, তার প্রভাবে আজকে তেলের দাম থেকে শুরু করে সব কিছু বেড়ে যাচ্ছে। সারের দাম বেড়ে যাচ্ছে, খাদ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে কারণ সমস্ত জিনিসগুলো আনা-নেওয়া বা জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে, ক্যারিং কস্ট বাড়ছে। এর প্রভাব সারা বিশ্বব্যাপী পড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও তার থেকে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের ওপর সেই প্রভাব পড়ে যাচ্ছে। সেই প্রভাব মোকাবিলা করে আমাদের এগোতে হচ্ছে।'

'তারপরও বলবো আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়েছি। একটা কথা জানাতে চাই, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যুদ্ধ এবং করোনা মহামারি এটা মোকাবিলা করেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজকে যুব সমাজকে সুযোগ করে দিচ্ছে কর্মসংস্থানের। গ্রামে বসে, ইউনিয়নে বসেও আমাদের ছেলে-মেয়েরা তারা শিক্ষা গ্রহণ করে বিদেশ থেকে অর্থ অর্জন করতে পারছে। তাদের আমরা স্বীকৃতি দিয়ে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করেছি। তাদের কাজ যাতে সহজ হয় তার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশকে আমরা আরও উন্নত করে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো ২০৪১ সালে। আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি', বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা শুধুমাত্র একটা পণ্য রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল ছিলাম, সেটা হলো গার্মেন্টস। এখন এটাকে বহুমুখী করা যেখানে আইসিটি বা ডিজিটাল ডিভাইস বাংলাদেশেই তৈরি হবে এবং আমরা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রপ্তানি করবো। সেভাবেই কিন্তু আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যার জন্য ইতোমধ্যে অনেকগুলো কোম্পানি বাংলাদেশে আসছে এবং তারা এখানে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

The war that we need to know so much more about

Our Liberation War is something we are proud to talk about, read about, and reminisce about but have not done much research on.

11h ago