বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে ঈদের দিনেও যানজট

ঈদের দিন সকালেও বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ মহাসড়কে যানজট থাকতে দেখা গেছে। যানজটের কারণে সময়মত গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় অনেকে ঈদের নামাজও আদায় করতে পারেননি। অনেকে আবার গাড়ি থামিয়ে রাস্তার পাশেই গ্রামের ঈদ জামাতে শরীক হয়েছেন।
প্রতি ঈদের আগের কয়েকদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর উভয় সংযোগ সড়কে যানজট সৃষ্টি হলেও এবার অনেক বছর পর ঈদের দিনও যানজট দেখা গেল। ছবি: স্টার

ঈদের দিন সকালেও বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ মহাসড়কে যানজট থাকতে দেখা গেছে। যানজটের কারণে সময়মত গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় অনেকে ঈদের নামাজও আদায় করতে পারেননি। অনেকে আবার গাড়ি থামিয়ে রাস্তার পাশেই গ্রামের ঈদ জামাতে শরীক হয়েছেন।

গত কয়েকদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর উভয় সংযোগ সড়কে সৃষ্ট সারাদিনের তীব্র যানজট সারারাত ধরে অব্যাহত ছিল।

এতে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি জেলার ঘরমুখো মানুষ এবং পরিবহন শ্রমিকরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশু যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল অনেক বেশী।

ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব সংযোগ সড়কের এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশে যানজট দেখা গেছে। এতে অধিকাংশই ছিল ঢাকা থেকে উত্তরের বিভিন্ন জেলাগামী গরুবোঝাই এবং খালি ট্রাক। এ ছাড়াও, যাত্রীবাহী বাস এবং ব্যক্তিগত যানবাহনও ছিল।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার আলী হোসেন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে একটি গরুর খালি ট্রাকে তারা কয়েকজন দিনমজুর বাড়ির পথে রওনা হন। কিন্তু যানজটের কারণে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তারা বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে পারেননি।

‘আশা ছিল বাড়ি গিয়ে ঈদের নামাজ পড়ব। সেটি আর সম্ভব হলো না’, বলেন তিনি।      

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সারারাত ধরে গাড়ির প্রচণ্ড চাপ ভোরেও অব্যাহত ছিল। তবে, সকাল ৮টার পর তা পরিষ্কার হতে থাকে।

উল্লেখ্য, প্রতি ঈদের আগের কয়েকদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর উভয় সংযোগ সড়কে যানজট সৃষ্টি হলেও এবার অনেক বছর পর ঈদের দিনও যানজট দেখা গেল।

Comments

The Daily Star  | English
14-party fragile as AL ‘shifts rightwards’

Seat-Sharing: 14-party alliance meeting tomorrow

Ever since the Election Schedule was announced on November 15, there is growing unease in the alliance over which partner gets to vie for how many constituencies, sources say

37m ago